ঢাকার ফুটবলে একটি কথা বেশ প্রচলিত, সেটি হলো- “পাইওনিয়ার লিগে ৫০০ টাকায় ম্যাচ কেনা-বেচা হয়।” বিশেষ করে পয়েন্ট টেবিলের নিচের দলের সাথে চ্যাম্পিয়ন ফাইটে থাকা দলগুলোর ম্যাচ নিয়ে এমন অভিযোগ যেন অনেকটাই নিয়মিত। মাঝের কয়েকটি মৌসুম ম্যাচ পাতানোর বিষয়টি নিয়ে তেমন আলোচনা না হলেও গত মৌসুম থেকে আবারো ফুটবলের বিষবৃক্ষ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এছাড়া এবারের চ্যাম্পিয়নশিপ লিগেরও বেশ কয়েকটি ম্যাচে উঠেছে পাতানো খেলার অভিযোগ। তাইতো এই পাতানো খেলা বন্ধে কঠোর অবস্থান থাকার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
আগামী মাস থেকে শুরু হচ্ছে ফুটবলার তৈরির আঁতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ পাইওনিয়ার ফুটবল লিগ। আর এই লিগে খেলা তরুণ ফুটবলারদের ক্যারিয়ারের সূচনা লগ্নেই যেনো পাতানো খেলার মতো কলঙ্ক না লাগে সেদিকে বিশেষ নজর দিচ্ছেন বাফুফের সহসভাপতি ও মহানগরী লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান। আজ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় ১ম বিভাগ, ২য় বিভাগ ও পাইওনিয়ার লিগের ক্লাব সমূহের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ইফতার মাহফিল ও মতবিনিময় সভায় ইমরুল হাসান বলেন, “কোনো দলের বিরুদ্ধে যদি পাতানো খেলার প্রমাণ মেলে, আমরা কঠোর অবস্থানে থাকবো। এমনকি তাদের অবনমনের মত কঠিন শাস্তিও পেতে হতে পারে।”
মহানগর লিগ কমিটির এই সভায় ক্লাবগুলো নিজেদের দাবিদাওয়া উত্থাপন করেছে। পাইওনিয়ারের ক্লাবগুলোর দাবির মধ্যে অন্যতম একটি ছিল খেলোয়াড়দের বয়সের ব্যাপারটি। যেহেতু এবার বয়স নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে তাই ক্লাবগুলো চেয়েছিল খেলোয়াড়দের বয়সে যেন শিথিলতা আনা হয়। কিন্তু মহানগর লিগ কমিটি নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকবে বলে জানান ইমরুল হাসান, “ক্লাবগুলোর একটি দাবি ছিল, বয়সের কারণে অনেক ক্লাব পর্যাপ্ত খেলোয়াড় পায়নি। অনেকেই অনুরোধ করেছে, সে অনুযায়ী আমরা যেন শিথিলতা আনি। কিন্তু আমরা বয়সের ব্যাপারে ছাড় দিতে ইচ্ছুক নই। শেষ পর্যন্ত সবগুলো দল বয়সের এই ব্যাপারটা মেনে নিয়েছে।”
মহানগরী লিগ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২১ মে থেকে পাইওনিয়ার লিগ শুরু হচ্ছে। এরপর পর্যায়ক্রমে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় বিভাগ লিগ শুরু হবে বলেও জানান বাফুফে সহসভাপতি ও মহানগরী লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান।