প্রায় তিনমাস পর নিজের রাজ্যে ফিরেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। নিজের শারীরিক সমস্যা জনিত কারণে এতোদিন নিবিড় পরিচর্যায় ছিলেন বাফুফে সভাপতি। চিকিৎসকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সফল ওপেন হার্ট সার্জারী ফলে বর্তমানে শঙ্কা মুক্ত আছেন তিনি। আজ বুধবার দুপুর ২টার বাফুফে ভবনে এসেছিলেন সালাউদ্দিন, তারপর নিজের কক্ষে দাপ্তরিক কাজকর্ম সেরেছেন। দাপ্তরিক কাজ শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। কথা এক পর্যায়ে ক্রীড়ামন্ত্রি এবং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের প্রসঙ্গও উঠে আসে।
২০২৩ সালে অর্থ সংকটের কারণ দেখিয়ে মিয়ানমারে নারী ফুটবল দলকে পাঠায়নি বাফুফে। ওইসময় এইরকম অসঙ্গতি চোখে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সাথে তর্কে লিপ্ত হন নাজমুল হাসান পাপন। তবে আজকে ক্যামেরার সামনে এই বিষয় সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন সালাউদ্দিন। তিনি বলেন,
“যা হয়েছে সেটা শুধুমাত্র কিছু ফরেন ইনভলমেন্ট। এক জায়গার কথা আরেক জায়গায়। আমাদের মধ্যে কিছু হয়নি। হওয়ার সুযোগই নেই।”
সালাউদ্দিনের মতে তার আর পাপনের সম্পর্ক অনেকদিনের, এই সম্পর্ক আজকালের নয়, তাই দীর্ঘ এই সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার নয়-
“দীর্ঘদিনের সম্পর্ক একদিনে নষ্ট হওয়ার নয়। আমাদের অনেক দিনের সম্পর্ক। আজ-কালের নয়। পারিবারিক সম্পর্ক।”
সালাউদ্দিনের সাথে সাক্ষাতের পর পাপন নিজেও সালাউদ্দিন সম্পর্কে ইতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন। এই প্রসঙ্গে সালাউদ্দিন বলেন,
“আমাদের মধ্যে খুব সৌহাদ্যপূর্ণ কথা হয়েছে। পাপন এরকম স্ট্যাটমেন্ট দেবে, সেটা প্রত্যাশিতই ছিল। আমার কাছেও পাপনের একই প্রত্যাশা।”
বর্তমানে বিসিবির পাশাপাশি ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করছেন নাজমুল হাসান পাপন। ক্রীড়ামন্ত্রি হওয়ার পর বাফুফের কর্তাব্যক্তিদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতও সেরেছিলেন তিনি। সেই সাক্ষাতকালে বাফুফের নানান সীমাবদ্ধতার কথাও শুনেছেন পাপন, পাশাপাশি সীমাবদ্ধতা দূরীকরণে সাহায্য করার আশ্বাসও দিয়েছেন মন্ত্রী মহোদয়। পাপনের এই অভিব্যক্তি নিয়েও মুখ খুলেছেন সালাউদ্দিন। তিনি বলেন,
“পাপন খুব শিক্ষিত ছেলে। ও যেটা বলেছে সেটা সঠিক। যেখানে ২১১ দেশ যুদ্ধ করে। যা অন্য কোনো খেলায় পাবেন না।”