আগামী ২৬ শে অক্টোবর বাফুফে নির্বাচন। ধারণা করা হচ্ছিলো এবারের বাফুফে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। তবে নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেই চলেছে। এবার সিনিয়র সহ-সভাপতি পদের মনোনয়ন নেওয়া তরফদার রুহুল আমিন তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
এবারে বাফুফে নির্বাচনে সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পদ হিসেবে সিনিয়র সহ-সভাপতিকে ধরে নেওয়া হচ্ছিলো। সভাপতি পদের জন্যে আগে থেকেই তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিলো। শাহাদাত হোসেন নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালে এবং আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদওয়ান মনোনয়ন ফরম জমা না দিলে সভাপতি পদের লড়াই একেবারে নিষ্প্রভ হয়ে পড়ে।
সভাপতি পদের লড়াই নিষ্প্রভ হয়ে পড়লে সবার দৃষ্টি পড়ে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদের লড়াইয়ের দিকে। কারণ তখন পর্যন্ত বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসানের সাথে মুখোমুখি অবস্থানে ছিলো তরফদার রুহুল আমিন। এবার সভাপতির পদে নির্বাচন করবেন বলে ধারণা করলে শেষ পর্যন্ত সিনিয়র সহ-সভাপতি পদের জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। নির্বাচনের আগ মুহুর্তে পরোক্ষভাবে নিজের ফাঁকা বুলির ব্যবহারও করেছিলেন যথাযথভাবে।
মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার পর ফুটবল ভক্তরা অনুমান করেছিলো শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী লড়াইয়ে টিকে থাকবেন তরফদার রুহুল আমিন। তবে হঠাৎ সবাইকে আরো একবার চমকে দিয়ে নিজের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন তিনি।
নিজের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষারের নিকট একটি আবেদনপত্রও প্রেরণ এই ব্যবসায়ী। সেখানে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পিছনে কয়েকটি কারণও উল্লেখ করেছেন। কারণ গুলো হলো- আইন না মেনে ডেলিগেট ফরম হাতে হাতে প্রদান, ফিফা কর্তৃক নিষিদ্ধ এবং বাফুফে থেকে বহিষ্কৃত সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ কর্তৃক নির্বাচন বিধিমালা প্রকাশ ও বিতরণ, প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচন আয়োজনে স্বচ্ছ পরিবেশ তৈরি করতে না পারা, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকা। উপরোক্ত কারণগুলো উল্লেখ করে সাধারণ সম্পাদকের কাছে নিজের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেন তরফদার রুহুল আমিন।