আসন্ন ফুটবল মৌসুমকে সামনে রেখে দল বদলে ব্যস্ত সময় পার করছে প্রিমিয়ার লীগের ক্লাবগুলো। দেশের খেলোয়াড়দের নিয়ে চিন্তা না থাকায় এবার ভালো মানের বিদেশী সংগ্রহে মনোযোগী তারা। তবে অন্যদের তুলনায় কিছুটা নিশ্চিন্তেই নিজেদের দলবদল শেষ করেছে চট্টগ্রাম আবাহনী। গতবারের অসমাপ্ত মৌসুমে খেলা বিদেশীদেরই নিয়ে দল গড়েছে বন্দর নগরীর ক্লাবটি।
গতবারের মতোই চট্টগ্রাম আবাহনীর আক্রমন তৈরি করতে দেখা যাবে আইভেরি কোস্টের মিডফিল্ডার দিদিয়ের চালর্সকে। ৩০ বছর বয়সী এই মধ্যমাঠের খেলোয়াড় গতবারের অসমাপ্ত প্রিমিয়ার লীগে দুটি করে গোল ও এসিস্ট করেছেন। চট্টগ্রাম আবাহনীতে যোগ দেয়ার আগে তিনি ইসরায়েলের প্রথম ও দ্বিতীয় বিভাগের কয়েকটি ক্লাবে খেলেছেন।
চট্টগ্রাম আবাহনীর জন্য গোল করার দায়িত্বে থাকবেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নিক্সন গ্যালিয়েরমে। ২৪ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় গত মৌসুমে ফেডারেশন কাপ ও প্রিমিয়ার লীগ মিলিয়ে পাঁচটি গোল করেন বন্দর নগরীর ক্লাবটির জন্য।
তবে অনেকের প্রশ্ন অন্য দুই বিদেশী নাইজেরিয়ার চিনেদু ম্যাথিউ ও উজবেকিস্তানের শুকুরালী পুলাটবকে নিয়ে। বাংলাদেশের লীগ শেষ করে সাইপ্রাস লীগের দল ইপসোনাস এফসি’তে চিনিদু এবং উজবেকিস্তানে ক্লাব এফসি তুরন এ যোগ দেন শুকুর আলী। ফলে তারা কি ফিরবে কিনা এমন প্রশ্ন করা স্বাভাবিকই। তবে তাদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম আবাহনীর ম্যানেজার আরমান আজিজ। অফসাইডকে তিনি জানান, ‘ম্যাথিউ সাইপ্রাস লিগে চুক্তি করেছিলো কিন্তু আমরা প্রস্তাব দেওয়ায় আলোচনা করে চুক্তি বাতিল করেছে আমাদের জন্য। এছাড়া উজবেকিস্তান লিগ তিন তারিখ শেষ হবে। শুকুরকে পেতেও আমাদের কোন সমস্যা হবেনা। সবাই দলবদল শেষ হবার আগেই চলে আসবে।’
পুরোনো বিদেশীদেরই দলে নেয়ার বিষয়ে আরমান আজিজ বলেন, ‘আমরা ওদের গত মৌসুমে পার্ফরম্যান্সে সন্তষ্ট। এজন্য ওদের আবার রিটেইন করেছি। ওদের উপর ভর করে আমরা গত বাতিল হওয়া মৌসুমে বড় ম্যাচ গুলো জিতেছি।’
গত মৌসুমে বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে তিন গোলে পিছিয়ে পড়েও চার গোল করে ম্যাচ জিতে চট্টগ্রাম আবাহনী। কোচ মারুফুল হকের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া এই দল এই মৌসুমেও সবাইকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত।