আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে ‘সাফ অ-১৯ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপ’। সাফের এবারের আসরের আয়োজক দেশের ভূমিকায় আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। আসন্ন এই টুর্ণামেন্টে অংশ নিচ্ছে সর্বমোট চারটি দল। বাংলাদেশ ছাড়া অন্য তিনদল হলো ভারত, নেপাল এবং ভুটান।
উদ্বোধনী দিনে স্বাগতিক বাংলাদেশ মাঠে নামবে।প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল। প্রথম ম্যাচেই দলের লক্ষ্য থাকবে জয় নিশ্চিত করা। কারণ প্রথম ম্যাচের জয়-পরাজয় টুর্ণামেন্টের পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। জয়ের ব্যাপারে বদ্ধপরিকর বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ সাইফুল বারী টিটু। দেশের নাগরিক হিসেবে দেশকে জয় উপহার দেওয়াটা তার কাছে দায়িত্বের মধ্যে পড়ে বলে জানান। তিনি বলেন, “চ্যালেঞ্জের কিছু নেই। আমরা এ দেশের নাগরিক সে হিসেবে আমাদের দেশকে কিছু দেয়া দরকার। আমরা রোহিঙ্গা না ! দেশ আমাদের থাকতে দিয়েছে। দেশকে আমাদের কিছু দিতে হবে। এটাই খেলোয়াড়দের মনে রাখলেই হবে।”
দায়িত্বের দিক থেকে সাইফুল বারী টিটু অনেক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন কোচ। জাতীয় দলের পাশাপাশি ক্লাব পর্যায়েও কোচিং করিয়েছে। একাধিকবার বাংলাদেশ জাতীয় পুরুষ ফুটবল দলের ড্রাগআউটেও ছিলো তার পদচারণা, ছিলেন নারী দলের সিনিয়র কোচের দায়িত্ব। উক্ত টুর্ণামেন্টে অভিজ্ঞতার খাতিরে অন্যদের থেকে এগিয়ে সাইফুল বারী টিটু। কোচ মাঠে নেমে খেলায় অংশ না নিলেও, তার বুদ্ধিমত্তা এবং কৌশলী পরিকল্পনা খেলার চিত্র সহজেই পাল্টে দিতে পারে। এই প্রসঙ্গে সাইফুল বারী টিটু বলেন, “হ্যা এটা ঠিক। খেলোয়াড় পরিবর্তন, ম্যাচের অবস্থা বুঝে কৌশল নির্ধারণে কোচের ভূমিকা থাকে। হয়তো আমার অভিজ্ঞতা এখানে কাজে লাগতে পারে। তবে কাজটা মূলত ফুটবলারদের। তাদের খেলার উপরই নির্ভর করে কোচ সফল হবে কিনা।”
কোচের মতো প্রথম ম্যাচটা খেলোয়াড়দের কাছেও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তারা প্রথম ম্যাচে জিতে ফাইনাল যাওয়ার আশা আরো জোরালো করতে চায়। সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রত্যাশাই ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ অ-১৯ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার। এছাড়া দলের সার্বিক পরিস্থিতিও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “প্রথম ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ। নেপালের বিপক্ষে জিতে আমরা ফাইনালের পথে থাকতে চাই। আমরা এখানে ভালো রয়েছি। সব দল একসঙ্গে রয়েছি। সুইমিংপুলে আড্ডা দিয়েছি গতকাল।”