আরেফীন জিসান: বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল বর্তমানে সংকটকাল অতিক্রম করছে। এই অবস্থায় দলে নতুন শক্তি যোগাতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) তিনজন প্রবাসী ফুটবলারকে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করছে। জুন-জুলাইয়ের মধ্যে তাদের দলে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ চলছে।

আনিকা সিদ্দিকী সুইডেনের টপ টায়ার ক্লাবে খেলে ইতিমধ্যেই ইউরোপের প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল কাঠামোর ভেতর দিয়ে বেড়ে উঠেছেন। ২০২৩ সালে সুইডিশ কাপে তিনি একটি ম্যাচে সাবস্টিটিউট হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন। তার বাংলাদেশে আসার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত আসা হয়নি। সুইডেন নারী ফুটবলে বিশ্ব র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থেকেছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বকাপ ও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ধারাবাহিক সফলতা পেয়েছে। আনিকা সুইডেনের এমন কম্পিটিটিভ সিস্টেমের ভেতর দিয়ে বেড়ে ওঠেছে যা দারুণ সব ফুটবলার তৈরি করে। বাংলাদেশ তার থেকে ভালো সার্ভিস পাবে।

ফরোয়ার্ড জোহরা খাতুন গত বছর ইংলিশ ৪র্থ টায়ার লিগে খেলেছেন। বর্তমানে তিনি কোনো ক্লাবের সাথে যুক্ত নন, তবে তার অভিজ্ঞতা ও স্কিল বাংলাদেশের আক্রমণভাগকে শক্তিশালী করতে পারে।

ভবিষ্যৎ তারকা শায়লা মেদিনা আহমেদ ইংল্যান্ডের ৪র্থ টায়ার ক্লাবের অনূর্ধ্ব-১৬ দলে খেলেছেন। শায়লা ক্লাবটির একাডেমির প্লেয়ার অফ দ্য সিজন পুরস্কার পেয়েছেন। বড় বড় ক্লাবের স্কাউটরা তার ওপর নজর রাখছে এবং তিনি ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৫ দলের রাডারেও ছিলেন। তার সংযোজন বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলে নতুন গতি আনতে পারে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই তিনজন খেলোয়াড়ই ফরোয়ার্ড পজিশনে খেলেন। তাদের অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের আক্রমণভাগের শক্তি বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা বর্তমান সংকট কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

Previous articleকাবরেরার স্কোয়াড যেন এক ধাঁধা
Next articleবাংলাদেশের জার্সি ডিজাইন করছেন এক প্রবাসী; বাফুফে-দৌড় আনুষ্ঠানিক চুুক্তি সম্পন্ন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here