এই মৌসুমে নিজেদের প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে ফর্টিস ফুটবল ক্লাব। লীগ ও ফেডারেশন কাপ মিলিয়ে এর আগে তিন ম্যাচে মাঠে নেমেছিলো ফর্টিস। তবে তার কোনোটিতেই জয় পায়নি তারা। তাই আজ তুলনামূলকভাবে দুর্বল প্রতিপক্ষ ফকিরেরপুল ইয়াং ম্যানস ক্লাবের বিপক্ষে জয় খুবই প্রয়োজন ছিলো তাদের, যেটা করেও দেখিয়েছে। লীগে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ফকিরেরপুলকে ৩-০ তে হারায় ফর্টিস।
ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্য ড্র দিয়েই শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধে গোল আদায়ের চেষ্টা চালায় ফর্টিস;সুফল মিলে ম্যাচে ৫২ মিনিটে। মাঠের ডানপাশ থেকে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর ক্রস থেকে হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ফর্টিসের গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড ওমর সার। মিনিট পাঁচেক পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পিয়াস আহমেদ নোভা। ফকিরেরপুলের নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার ওডোডেয়া সেগুন বলের নিয়ন্ত্রণ হারালে নিজেই সেখান থেকে একা বল টেনে নিয়ে গেলে গোল করেন পিয়াস আহমেদ নোভা।
৮৫ মিনিটে আবারো পিয়াস আহমেদ নোভার গোলে ব্যবধান আরো বাড়ায় ফর্টিস এফসি। পরবর্তীতে আর গোল না হলে ৩-০ তে জয় পায় ফর্টিস।
দিনের অন্য ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে ব্রাদার্স। লীগে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়। আজ তারা মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম আবাহনীর মুখোমুখি হয়। চট্টগ্রাম আবাহনীকে ২-০ গোলে হারায় তারা।
ব্রাদার্স ইউনিয়নের প্রথম গোলটি আসে ম্যাচের ১৫ মিনিটে। রহমত মিয়ার লম্বা থ্রো ইনে বক্সের থেকে হেড করে ব্রাদার্সকে লিড এনে দেন সেইক সেনে। দ্বিতীয় গোলটিও করেন এই সেনেগালীয় মিডফিল্ডার। খেলার একেবারে শেষ সময়ে কৌশিক বড়ুয়ার পাস থেকে বল নিয়ে বেরিয়ে গিয়ে চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষককে কাটিয়ে গোলটি করেন সেইক সেনে।
এই জয়ের ফলে বর্তমানে লীগ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে ব্রাদার্স। ৩ ম্যাচে ২ জয় ও ১ ড্র’য়ে তাদের সংগ্রহ ৭ পয়েন্ট। অন্যদিকে ৩ ম্যাচের ৩ টিতেই পরাজয়ের ফলে পয়েন্ট তালিকার একেবারে তলানীতে অবস্থান করছে চট্টগ্রাম আবাহনী।