ধুকতে থাকা বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ও বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশীপ লীগে পাতানো ম্যাচের থাবায় আহত। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের গত আসরে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়েছিলো আরামবাগ ক্রীড়া চক্র। এবারের আরামবাগের সেই গত হয়ে যাওয়া প্রতিচ্ছবি ধরে রেখেছে উত্তর বারিধারা ক্লাব। এছাড়া এবারের ফুটবল মৌসুমে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশীপ লীগের দল কাওরানবাজার প্রগতি সংঘও জড়িয়েছে পাতানো ম্যাচের জালে।
পাতানো ম্যাচের সন্দেহের কারণে এর আগে বাফুফের পাতানো ম্যাচ শনাক্তকরণ কমিটির চক্ষুগোচর হয় উত্তর বারিধারা ক্লাব ও কাওরান বাজার প্রগতি সংঘ। পরবর্তীতে পাতানো ম্যাচ শনাক্তকরণ কমিটির রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে বাফুফের ডিসিপ্লিনারী কমিটির শাস্তির আওতায় পড়ে এই দুই দল। বাফুফের ডিসিপ্লিনারী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উক্ত দুই দলকে দুই স্তর অবনমিত করেছে। উত্তর বারিধারা ক্লাবকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবল থেকে দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লীগে এবং কাওরান বাজার প্রগতি সংঘকে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশীপ লীগ থেকে তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লীগে অবনমিত করেছে বাফুফের ডিসিপ্লিনারী কমিটি।
অবনমনের পাশাপাশি দুই দলের ঘাড়ে চেপেছে জরিমানা। ডিসিপ্লিনারী কমিটি দুই দলকেই ১০ লাখ করে জরিমানা করেছে। বারিধারা ও কাওরানবাজারের মোট ১১ জন ফুটবলারকে ২ বছরের জন্যে ফুটবল সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম থেকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এছাড়াও কাওরান বাজার প্রগতি সংঘের কোচ রেজাউল হক, ম্যানেজার মিজানুর রহমানকে ৫ বছরের জন্যে নিষিদ্ধ করেছে ডিসিপ্লিনারী কমিটি।