বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এবং দুর্নীতি – যেন একে অপরের পরিপূরক। তাইতো কদিন পর পরই দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিরুদ্ধে উঠে দুর্নীতির অভিযোগ। দুর্নীতির অভিযোগে কদিন আগেই তৎকালীন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে নিষিদ্ধ ও জরিমানা করে ফিফা। এবার দুর্নীতির অভিযোগে বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে ১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ জরিমানা করেছে ফিফা। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১২ লাখ ৮৫ হাজার টাকার মতো!
সাবেক এই ফুটবলার বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদের পাশাপাশি বাফুফের ফিন্যান্স কমিটিরও প্রধান। দেশে ফুটবলের উন্নয়নে ফিফার দেওয়া ফান্ড ব্যবহারে অনিয়ম এবং বাফুফের ক্রয় ও পরিশোধের প্রক্রিয়াগুলোতে মিথ্যা তথ্য সংবলিত তথ্য, ত্রুটিপূর্ণ ক্রয়াদেশ এবং ভুয়া দলিল দস্তাবেজ পরিবেশনের দায়ে তাকে এই শাস্তি দিয়েছে ফিফা। আজ এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানায় বিশ্ব ফুটবলার নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
এছাড়া ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের নিষেধাজ্ঞা বেড়েছে। আগে সবধরনের ফুটবলীয় কার্যক্রম থেকে তাকে দুই বছর নিষিদ্ধ করা হলেও এবার শাস্তির মেয়াদ আরো এক বছর বৃদ্ধি করেছে ফিফা। একইসঙ্গে তাকে জরিমানা দিতে হবে ২০ হাজার সুইস ফ্রাঁ (প্রায় ২৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা)। সাবেক প্রধান ফিন্যান্সিয়াল অফিসার আবু হোসেন এবং অপারেশন ম্যানেজার মিজানুর রহমান দুজনকেই দুই বছরের জন্য ফুটবল-সংক্রান্ত কোনো কার্যকলাপে অংশ নেওয়া থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং দুজনকে ১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ (প্রায় ১২ লাখ ৮০ হাজার টাকা) জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া বাফুফের স্টোর অফিসার ইমরুল হাসান শরীফকে সতর্ক করা হয়েছে।