একের পর এক অন্তর্বর্তীকালীন কোচের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল। নিয়মিত কোচ জেমি ডে’কে সরিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের দায়িত্ব পালন করেন অস্কার ব্রুজন। সাফের পর অস্কার ব্রুজন দায়িত্ব না নেওয়ায় শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিতব্য চার জাতি টুর্নামেন্টে জন্য অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে মারিও লেমোসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই জাতীয় দলের ফুটবলারদের নিয়ে চার দিন অনুশীলন করেছেন এই পর্তুগিজ কোচ।
সোমবার জাতীয় দলের অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে লেমোস জানালেন, তিনি অন্য যেকোনো কোচের থেকে আলাদা, ‘আমি অন্য যেকোনো কোচের থেকে আলাদা, আমার ব্যক্তিত্ব আলাদা। আমি খেলোয়াড়দের প্রতি আস্থা, বিশ্বাস রাখি এবং কোনো অজুহাত না দেওয়ার চেষ্টা করি। আমাদের কিছু জিততে হবে, আমাদের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে, আসুন কিছু করার চেষ্টা করি। লুকিয়ে নয়, দায়িত্ব নিই সবাই-খেলোয়াড়দের কাছে এমন বার্তা পাঠিয়েছি।’
এত অল্প সময়ে দলের পরিবর্তন করা যেকোনো কোচের জন্যই বড় চ্যালেঞ্জের। মারিও লেমোসও মানেন এতো অল্প সময়ে খুব বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। তবে খেলোয়াড়রা সাফে যা করেছে সেই ধারাবাহিকতা কাজে লাগাতে চান।
‘দলে অনেক পরিবর্তন করার মতো পর্যাপ্ত সময় আমার নেই। আমি মনে করি সাফে তারা যা করেছে, আমি চেষ্টা করব সেই ধারাবাহিকতা কাজে লাগাতে; প্রশিক্ষক হিসেবে আমার ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী একটু, সামান্য জিনিস, সামান্য দিক পরিবর্তন করতে পারি।’ বলেছেন লেমস।
সরাসরি উজবেকিস্তান থেকে গোলরক্ষক কোচ আতিকুর রহমান শ্রীলঙ্কা যাবেন। বর্তমানে দেশে লেমোসের সঙ্গে গোলরক্ষক কোচ হিসেবে কাজ করছেন সাবেক জাতীয় দলের গোলরক্ষক ও বাফুফে কোচ বিপ্লব ভট্টাচার্য্য। গত কয়েক দিন অনুশীলন শেষে তার মন্তব্য, ‘জিকো, সোহেল ও রানা তিনজনই পরীক্ষিত গোলরক্ষক। নব্বই মিনিটই ম্যাচে সমান মনোযোগ রাখতে হবে এটাতেই আমি মূলত জোর দিয়েছি।’
শ্রীলংকার চার জাতি ফুটবল টুর্নামেন্টের জন্য গত ২৫ অক্টোবর ক্যাম্পে উঠেছেন ফুটবলাররা। প্রথম দুই দিনে ক্যাম্পে বেশির ভাগ ফুটবলাররা যোগ না দেওয়ায় হয়নি মাঠের অনুশীলন। এরপর ২৮ অক্টোবর থেকে ১৪ জন ফুটবলার নিয়ে মাঠের অনুশীলন শুরু করেন মারিও লেমোস। একদিন পরেই যোগ দেন আরো দুই ফুটবলার। সর্বশেষ সোমবার জামাল ভুঁইয়া ঢাকায় ফিরলেও করেননি অনুশীলন, আগামীকাল থেকে অনুশীলনে যোগ দেবার কথা রয়েছে তার।চার জাতি টুর্নামেন্ট খেলতে ৫ নভেম্বর শ্রীলংকার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল।