দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দেওয়া হয় জাতীয় ক্রীড়া পুরষ্কার। এর আগে প্রতি বছর নিয়মিত দেশের ক্রীড়াঙ্গনের কৃতি খেলোয়াড় ও সংগঠকদের এই পুরস্কার দেওয়া হলেও, ২০১৩ সাল থেকে হঠাৎ করেই থমকে যায়। তাইতো ২০১৩-২০ সাল পর্যন্ত পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম পড়ে থাকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে। তবে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল উদ্যোগ নেন ক্রমান্বয়ে বিগত বছরগুলোর সবগুলো ক্রীড়া পুরস্কার পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে তুলে দেবেন। আর তারই স্বীকৃতি স্বরূপরাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে ২০১৩-২০ সালের জন্য পুরস্কার গ্রহণ করেন ৮৫ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সময় স্বল্পতার জন্য শুধুমাত্র ২০২০ সালের পদকজয়ীদের মঞ্চে পদক দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ২০২০ সালে নির্বাচিত ৮ জনকে মঞ্চে পদক পরিয়ে দেন। ২০১৩-১৯ সালের নির্বাচিতদের অনুষ্ঠান শুরুর সময় পদক ক্রেস্ট সরবারহ করা হয়। ২০১৩-১৯ সালে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নাম ঘোষণার পর দাঁড়িয়ে পদক ও ক্রেস্ট তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানান। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে একটি করে ১৮ ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম ওজনের স্বর্ণপদক, এক লাখ টাকার চেক এবং সম্মাননাপত্র। যার মধ্যে বাদ যাননি দেশের ফুটবলে অবদান রাখা ফুটবলার ও সংগঠকরাও।
দেশের ফুটবলে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৩-২০ পর্যন্ত ক্রীড়া পুরস্কার পেয়েছেন মোট ১৪ জন ফুটবলার ও সংগঠক। ২০১৩ সালের জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেয়েছেন আলহাজ্ব শামসুল হক চৌধুরী (সংগঠক) ও ইলিয়াস হোসেন (খেলোয়াড়)। ২০১৪ সালের জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেয়েছেন মো. ফজলুর রহমান বাবুল (সংগঠক), ইমতিয়াজ সুলতান জনি (খেলোয়াড়)। ২০১৫ সালের জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার গিয়েছে দুই খেলোয়াড় বরুণ বিকাশ দেওয়ান ও মো. জুয়েল রানার কাছে। ২০১৬ সালের জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারও পেয়েছেন দুই খেলোয়াড় আরিফ খান জয় ও খন্দকার রকিবুল ইসলাম। ২০১৭ সালেও ক্রীড়া পুরস্কার পাননি কোনো সংগঠক। ওই বছরের একমাত্র পুরস্কারটি পেয়েছেন খেলোয়াড় আবু ইউসুফ। ২০১৮ সালের পুরস্কার পেয়েছেন মো. শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর (সংগঠক) ও কাজী আনোয়ার হোসেন (খেলোয়াড়)। ২০১৯ সালের পুরস্কার গিয়েছে দুই সংগঠক তানভীর মাজহার তান্না ও কাজী নাবিল আহমেদের কাছে। ২০২০ সালের একমাত্র পুরস্কারটি পেয়েছেন খেলোয়াড় মো. মহসীন। দেশের ফুটবলে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার অর্জন করা খেলোয়াড় ও সংগঠকদের আন্তরিক অভিনন্দন ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীসহ বাফুফের অন্যান্য সদস্যরা।