মুজিববর্ষ ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ নেপালের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। এতে করে করোনা মহামারীর পর আবারো মাঠে ফিরেছে দেশের ফুটবল। আর এই ফিরে আসাকে জয় দিয়ে রাঙ্গিয়েছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। খেলার পাশাপাশি মাঠে ফিরে দর্শকও।
বাংলাদেশ দলের একাদশে ব্যাপক পরিবর্তন কিছুটা অবাক করেছে সমর্থকদের। ডিফেন্ডার ইয়াসিন খান ও মিডফিল্ডার সোহেল রানাকে বেঞ্চে রেখে শুরুর দল সাজান জেমি ডে। অভিষেক হয় স্ট্রাইকার সুমন রেজা ও গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর।
ম্যাচের শুরু থেকেই নেপালের তুলনায় ভালো খেলে বাংলাদেশ। খেলার দশম মিনিটেই লিড নেয় টাইগাররা। সাদ উদ্দিনের ক্রসে প্রথম পোস্টে জোড়ালো শটে গোল করেন নাবিব নেওয়াজ জীবন। গোলের পর আরো আক্রমনাত্মক হয় বাংলাদেশ। বিশেষ করে নজর কাড়েন মিডফিল্ডার মানিক মোল্লা। তাকে পরাস্ত করে এগিয়ে যেতে বাঁধ পাচ্ছিলো নেপালের খেলোয়াড়রা।
ম্যাচে ২০ তম মিনিটে রাইট উইং থেকে অসাধারণ ক্রস করেন জীবন। এতে দ্বিতীয় বারে ফাঁকা পোস্টে হেড করেন ইব্রাহীম। কিন্তু দৌড়ে এসে তা ফাঁকা গোল থেকে ফিরিয়ে দেন নেপালি ডিফেন্ডার। এর তিন মিনিট পরই বিশ্বনাথের লং থ্রো থেকে হেড করেন নেপালের বক্সে থাকা তপু বর্মন কিন্তু তা অল্পের জন্য প্রথম পোস্টের পাশ দিয়ে চলে যায়।
ম্যাচের ২৫ তম মিনিটে বাংলাদেশের ডিফেন্সে একটি বল জিতে বক্সে ডুকে পড়েন নেপালের পাশয়ান। কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে সুযোগটি নষ্ট হয় তাদের। এর দুই মিনিট পরই নেপালের ডি বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে পোস্টে জোড়ালো শট নেন মানিক মোল্লা। অসাধারণ দক্ষতায় বা দিকে ঝাপিয়ে বাংলাদেশকে গোলবঞ্চিত করেন নেপালের গোলরক্ষক কিরন। এরপর দুদলই কিছু আক্রমন করলেও গোলের দেখা পায়নি। ফলে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই সাজঘরে যায় বাংলাদেশ দল।
হাফ টাইমের পর নিজেদের ফিরে পায় নেপাল দল। মধ্যমাঠে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বার বার আক্রমন চালিয়ে যায় তারা। ৫৬ তম মিনিটে বক্সে ভিতর বল পেয়ে পোস্টকে উদ্দেশ্য করে শট নেন নেপালের পাসওয়ান। এ যাত্রায় স্লাইডিং ট্যাকলে শটটি বল্ক করে বাংলাদেশ দলকে রক্ষা করে ডিফেন্ডার রহমত মিয়া। এরপর সবাইকে সুযোগ দিয়ে দেখতে পরিবর্তন শুরু করেন বাংলাদেশের কোচ জেমি ডে। জামাল, মানিক, জীবনকে তুলে নিয়ে মাঠে নামান সোহেল, ফাহাদ ও বিপলুকে।
খেলার ৭৩ তম মিনিটে মধ্যমাঠ থেকে উড়ে আসা একটি বলে নেপালের খেলোয়াড় ব্যাক হেড করলে গোলের একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়। কিন্তু তা সহজেই প্রতিহত করেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক জিকো। ৭৬ মিনিটে ডিবক্সের কাছে একটি ফ্রি কিক পায় বাংলাদেশ দল। জামাল ভুঁইয়া মাঠে না থাকায় শট নিতে আসেন তপু বর্মন। তার নেয়া কিক সরাসরি গোলরক্ষকের দিকে হলেও ভালোই পরীক্ষায় পড়তে হয় কিরণকে।
ম্যাচের ৮০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করে বাংলাদেশ। খেলার ধারার বিপরীতে লেফট উইং দিয়ে কাউন্টার এট্যাকে একক প্রচেষ্টায় নেপালে বক্সে ডুকে পড়েন দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মাঠে নামা মাহবুবুর রহমান সুফিল। বক্সে ডুকে ঠান্ডা মাথায় বল গোলরক্ষকের বা পাশ দিয়ে জালে জড়িয়ে দেন এই ফরোয়ার্ড। এতেই ২-০ গোলের সহজ জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।