বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বাফুফের প্রতি সুনজর পড়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের। আজ বুধবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কর্তাব্যক্তিদের সাথে সাক্ষাৎ এবং আলোচনা করেছেন মন্ত্রণালয়ের নতুন মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। আলোচনায় উঠে এসেছে বাফুফের সার্বিক সকল পরিস্থিতি।
এছাড়া বাফুফের নানান সীমাবদ্ধতার কথাও শুনেছেন পাপন, পাশাপাশি সীমাবদ্ধতা দূরীকরণে সাহায্য করার আশ্বাসও দিয়েছেন মন্ত্রী মহোদয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন বাফুফের সিনিয়র সহ- সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, বাফুফের সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ এবং অনন্য সদস্যরা।
পুরো বছর জুড়ে ফুটবলের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাফুফেকে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়। এই অর্থের মূল যোগানদাতা ফিফা, এছাড়া স্পন্সরও রয়েছে। তবে তা খুবই সীমাবদ্ধ। আলোচনা সভায় বাফুফে সামগ্রিক খরচের বিষয়টি নাজমুল হাসান পাপনের কাছে তুলে ধরেছেন বাফুফের সদস্যরা। এই প্রসঙ্গে বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, “ফিফা থেকে যে টাকা পাই, তা খাতওয়ারি খরচ হয়। স্পন্সরের সীমাবদ্ধতা আছে। মন্ত্রণালয় থেকে সাপোর্ট চেয়েছি। দেশের বাইরে খেলতে যেতে হয়। ক্যাম্প খরচসহ অন্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।”
ফেডারেশনের আহবানে সাড়া দিয়েছেন ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। স্পন্সর পেতে সাহায্য করার আশ্বাসও মিলেছে তার পক্ষ থেকে। এই নিয়ে সালাম মুর্শেদী বলেন, “এখন যে টুর্নামেন্ট বা লিগ হচ্ছে, দেশে বা বিদেশে। কেমন খরচ হয়ে থাকে বা হবে, তার একটা খসড়া তাকে দিয়েছি। পরবর্তীতে তিনি ব্যবস্থা করবেন। স্পন্সর যেন পাই সেজন্য সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন। সিড মানি যেন দেওয়া হয়। ফিক্সড ডিপোজিট করে যেন চলা যায় তাও বলেছি আমরা।”
দেশের ফুটবলের ফুটবল নিয়ে নতুন মাঠেরও দাবি করেছেন বাফুফে সিনিয়র সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কারের প্রসঙ্গেও ক্রীড়ামন্ত্রীকে অবগত করেছেন সিনিয়র সহ-সভাপতি- “নতুন মন্ত্রী আমাদের ক্রীড়াঙ্গনের মানুষ। আমাদের সঙ্গে সুন্দর আলোচনা হয়েছে। তিনি আমাদের সমস্যাগুলো শুনেছেন। এই মুহূর্তে মূল সমস্যা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ, এটা যত দ্রুত শেষ করা যায়। এখানে প্রিমিয়ার লিগসহ অনেক খেলা হয়ে থাকে। অনেক দিন হলো সেখানে খেলা হচ্ছে না। এছাড়া শুধু ফুটবলের জন্য আলাদা স্টেডিয়াম চেয়েছি। যেসব জেলায় খেলাগুলো হয়, সেখানে ডিএফএ যেন মাঠ পায়। লিগ যেন চালাতে পারি। মন্ত্রী মহোদয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।”
এছাড়া তিনি বলেন বলেন৷ “সাফের খেলায় যেন স্বাগতিক হতে পারি, সেইজন্য ক্রীড়ামন্ত্রী সহযোগিতা করবেন। চারটা মাঠ হালনাগাদ করে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি সমস্যাগুলো জানতে পেরেছেন। বুঝতে পেরেছেন। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী। আমাদের চ্যালেঞ্জ বা সংকট যা আছে তা মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে করতে পারবো।”
সভায় দেশের ফুটবল নিয়ে বিস্তর আলোচনা করা হয়। বাস্তব সম্মত পরিকল্পনা করার জন্য বাফুফেকে পরামর্শও দিয়েছে পাপন। বড় পরিকল্পনা নির্ধারণও করার কথাও বলেছেন মন্ত্রী। এই সম্পর্কে বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি সংবাদমাধ্যমকে জানান, “ক্রীড়ামন্ত্রী বলেছেন টার্গেটটা বাস্তবসম্মত হতে হবে। বর্তমানে এখন কোথায় আছি, পরবর্তী ধাপ কোন জায়গায়? এখন আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অবস্থায় আছি। পরবর্তীতে এশিয়ান পর্যায়ে হওয়া উচিত। বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা করে এগিয়ে যেতে হবে। তারপর আবার সবকিছু নিয়ে তার সঙ্গে বসবো।”