বাংলাদেশের ফুটবলে প্রধান ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। তবে বড় ধরনের সংস্কার কাজের জন্য প্রায় আড়াই বছর এই মাঠ খেলাধুলা আয়োজন থেকে দূরে রয়েছে। সংস্কার কাজ শেষ করে ধীরে ধীরে নতুন রূপে তৈরি হচ্ছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম প্রধান এই ভেন্যুটি। মূলত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এই মাঠটি ব্যাবহার করে থাকে। এর পাশাপাশি অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনও তাদের খেলাগুলো এখানে আয়োজন করে। তবে এই মাঠ দেখভাল করার দায়িত্বে রয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। তারাই এই মাঠটির সংস্কার কাজ পরিচালনা করছে।
ঢাকার আশপাশে ভেন্যু সংকটের কারণে সংস্কার কাজ চলা অবস্থায়ই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে লিগের ম্যাচ আয়োজনের আবেদন জানিয়েছে বাফুফে। সে লক্ষ্যে মাঠ ও ড্রেসিংরুম জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বাফুফেকে বুঝিয়ে দিতে চায়। আজ (মঙ্গলবার) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এবং বাফুফে দুই পক্ষই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম সরেজমিনে পরিদর্শনে যায়। সেখানে বাফুফের চোখে কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। সেই অসঙ্গতি দূর করে দ্রুততম সময়ে মাঠ বুঝিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম পরিদর্শনে গিয়ে বাফুফের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক বলেন, ‘অ্যাথলেটিক্স টার্ফের পাশে কংক্রিট রয়েছে। এতে মারাত্মক আহত হতে পারে ফুটবলাররা। এখানে কংক্রিটের পরিবর্তে আমরা তাদেরকে রাবারের কিছু ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছি। মাঠের মধ্য থেকে যেভাবে পানি দেওয়ার সিস্টেম করা হয়েছে তা সঠিক নয়। আমরা এটি পরিবর্তন করে অন্য পদ্ধতির দাবি জানিয়েছি।’
তবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) শামসুল আলম এসব অসঙ্গতির জন্য অবশ্য ফেডারেশনকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এখানে ছয়টি স্প্রিংবল লাগানো হয়েছে। যদি এটি তাদের আপত্তি বা সমস্যা মনে হতো, তাহলে একটি স্থাপনের পরই আমাদের জানালে হতো। আমাদের মধ্যে কমিউনিকেশন গ্যাপ রয়েছে।’
তারপরও বাফুফের চিহ্নিত সমস্যাগুলো এবং অনুরোধ বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক বলেন, ‘আমরা এগুলো দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করব। আশা করি এই বছরের মধ্যেই এগুলো সম্পন্ন করতে পারব। আমাদের মাঠ অনেক বেশি প্রয়োজন। এই কাজগুলো সম্পন্ন হলে আমরা এখানে মাঠ ও ড্রেসিংরুম ব্যবহার করতে পারব।’
মূলত স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ বাফুফের চাহিদা মেনেই করা হয়েছে। কিন্তু কাজ চলাকালীন সে চাহিদা পূরণ হচ্ছে কিনা সেটা দেখভাল করেনি বাফুফে। মাঠ প্রস্তুত হয়ে যাওয়ার পর বাফুফের পক্ষ থেকে এখন অভিযোগ করা হচ্ছে বালু দিয়ে মাঠ করা হয়েছে! এছাড়া ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়েও সন্তুষ্ট নয় বাফুফে। তবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পক্ষ থেকে এসব অসঙ্গতি দুর করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।