এপার বাংলার পার্ট চুকিয়ে এবার ওপার বাংলায় নিজের ঘাটি গাড়লেন বসুন্ধরা কিংসের সাবেক কোচ অস্কার ব্রুজোন। কার্লেস কুয়াদ্রার প্রস্থানের পর ইস্টবেঙ্গলের পছন্দের তালিকায় সবার প্রথমে ছিলো এই স্প্যানিশ ম্যাজিকম্যান। আজ ৮ ই অক্টোবর ব্রুজনের নাম প্রকাশ করে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
এবারের আইএসএল মৌসুমের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি ইস্টবেঙ্গলের জন্য। যেই চার ম্যাচ খেলছে ইস্টবেঙ্গল, চার ম্যাচের চারটিতেই হারের মুখ দেখতে হয়েছে লাল-হলুদ শিবিরকে। প্রথম তিন ম্যাচ পরাজয়ের পর নিজের দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দেন কার্লেস কুয়াদ্রা। কুয়াদ্রার ইস্তফার পর থেকে ব্রুজন-ইস্টবেঙ্গল সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। অবশেষে সেই গুঞ্জন সত্যি হয়েছে।
বিপিএলে দুর্দান্ত সময় পার করেছে অস্কার ব্রুজন। বসুন্ধরা কিংসকে টানা পাঁচবারের বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন করেন তিনি। এছাড়া তিনবার করে ফেডারেশন কাপ ও স্বাধীনতা কাপ জয়ের কৃতিত্বও রয়েছে তার ঝুলিতে। আন্তজার্তিক পর্যায়ে তেমন ভালো না করলেও গতবারের এএফসি এশিয়ান কাপে বসুন্ধরা কিংসকে লড়ে গিয়েছিলো ব্রুজন। এছাড়া ভারতীয় ফুটবল নিয়েও অভিজ্ঞতা আছে অস্কারের। তিনি মুম্বাই সিটি এফসি সহকারী কোচের দায়িত্বও পালন করেছিলেন। তাই তার কাছে ভারতীয় ফুটবলের ধাচ মোটেও নতুন কিছু নয়।
দায়িত্ব পাওয়ার পর নিজের দল নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন অস্কার ব্রুজন। ইস্টবেঙ্গল নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী তিনি। শুধু আইএসএল নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও ভালো করতে চান তিনি, “আমি আত্মবিশ্বাসী শুধু আইএসএলে নয়, এএফসির প্রতিযোগিতাতেও আমরা ভালো ফল করবো। মৌসুমের মাঝামাঝি জায়গায় রয়েছি আমরা। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতির সেরা ব্যবস্থা করা হয়েছে। খেলোয়াড়দের কী করে সেরা ফর্মে ফিরিয়ে আনা যায়, তা নিয়েও আমরা কাজ করবো। খেলোয়াড়দের মধ্যে জয়ের মানসিকতা ফিরিয়ে আনতে হবে। যত বেশি সম্ভব ম্যাচে জয় পাওয়ার লক্ষ্য থাকবে আমাদের।”
ভাগ্যের খেলায় ইস্টবেঙ্গলের হয়ে প্রথম আন্তজার্তিক টুর্ণামেন্টে নিজের সাবেক দল বসুন্ধরা কিংসের মুখোমুখি হতে চলেছে অস্কার ব্রুজন। আগামী ২৯ শে অক্টোবর তার সাবেক দল বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে মাঠে নামবে তার বর্তমান দল ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে অস্কারের ইস্টবেঙ্গল যোগদানের গুঞ্জনের পাশাপাশি আরো একটু গুঞ্জনও বেশ সরব রয়েছে কয়েকদিন ধরে। সেটি হলো অস্কার ব্রুজন সাথে করে তার শিষ্য ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবসনকেও বসুন্ধরা কিংস থেকে ইস্টবেঙ্গলে নিয়ে যেতে চাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা না আসলেও গুঞ্জনের রেশ এখনো অব্দি মলিন হয় নি।