শেষ মুহুর্তের গোলে ভুটানের কাছে পরাজিত হলো বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। নিজেদের পূর্ণশক্তি দল নিয়ে মাঠে নামলেও কাজের কাজ কিছুই করে উঠতে পারে নি। প্রথম ম্যাচে ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকায় জয় পেয়েছিলো বাংলাদেশ, তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ড্র’টাও ভাগ্য জুটে নি তাদের। স্বাগতিক ভুটানের কাছে ১-০ তে পরাজিত হয়ে পুনরায় দেশবাসীকে আশাহত করেছে।
ভুটানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ নিজেদের সেরাটা দিতে পারে নি বাংলাদেশ। এক গোল করলেও তুলনামূলকভাবে সহজ দল ভুটানের সাথে প্রভাব বিস্তারের কোনো লক্ষণই ছিলো না। অন্যদিকে ভুটান মূল চেনচো না থাকায় ফিনিশিং ব্যর্থতায় ভুগেছিল ভুটান। প্রথম ম্যাচে চেনচোর অভাব ভালো ভুগিয়েছিল তাদের।
খারাপ খেললে মুখের জোরে সেটা একেবারে অস্বীকার করেছেন বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড় এবং টিম অফিশিয়াল। নিজেদের সামর্থ্যের কিঞ্চিৎ পারফরম্যান্স করতে না পারলেও মুখে ছিলো কথার ফুলঝুরি এবং লক্ষ্য ছিলো দ্বিতীয় ম্যাচে জয়। তবে কথা আছে ‘অসারের তর্জন গর্জন সার’; প্রথম ম্যাচের পর বৃথা আস্ফালন করে দ্বিতীয় ম্যাচের নিজেদের প্রতিকূলে ফলাফল পেলো লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
ম্যাচে বাংলাদেশের চেয়ে ভুটান ভালো খেলা উপহার দিয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ছিলো প্রথম ম্যাচের মতোই ছন্নছাড়া। আক্রমণভাগ এবং রক্ষণভাগ দুই জায়গায় রিক্তাসার শূণ্য পারফরম্যান্স দিয়েছে জামাল-তপু। ভালো খেললেও ফিনিশিং ব্যর্থতার কারণে গোল পাচ্ছিলো স্বাগতিকরা। তবে বারংবারের চেষ্টা ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে এসে গোলের দেখা পায় ভুটান।
ম্যাচের ৯০ মিনিটের মাথায় বাংলাদেশের দায়সারা ডিফেন্সের দেয়াল ভেদ করে সতীর্থের বাড়ানো হেড থেকে গোলটি করেন ওয়াংচুক কিংরা। ওয়াংচুক বক্সের বামদিকের ফাঁকায় দিয়ে বক্সের ভিতরে ঢুকে গিয়ে গোলটি করেন। তবে সে জায়গা আগে থেকে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা থাকলেও তারা অফসাইডের আবেদনে ব্যস্ত। এতে করে গোলের সুযোগ পেয়ে গোলটি করেন ওয়াংচুক। ফলে শেষ পর্যন্ত ১-০ হার দিয়ে চরমভাবে ব্যর্থ হয়ে ভুটান সিরিজ শেষ করেছে হ্যাভিয়ার ক্যাবররার শিষ্যরা।