শেষ মুহূর্তে গোল হজম করা যেন বাংলাদেশ ফুটবলের চিরায়ত দৃশ্য! আরো একবার শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে হারের স্বাদ পেয়ে মাঠ ছাড়লো বাংলাদেশ। কম্বোডিয়ায় এএএফসি অ-১৭ এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে তাই হার দিয়েই যাত্রা শুরু হলো বাংলাদেশের। অথচ প্রতিপক্ষ কম্বোডিয়া ম্যাচের ২৫তম মিনিটেই ১০ জনের দলে পরিণত হয়ে যায়!
ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশের আক্রমণভাগ নিস্প্রভতার পরিচয় দেয়। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী আরহাম ইসলাম, মোর্শেদ আলী কিংবা নাজমুল হুদা ফয়সালরা চেষ্টা করলেও আক্রমণভাগে সেভাবে রসায়ন জমেনি। দেখা গিয়েছে সমন্বয়ের অভাব। ম্যাচের ৯ম মিনিটে কম্বোডিয়ার এক খেলোয়াড়ের হেড সাইডবারে লেগে ফিরে আসে। ম্যাচের ২০তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে অপু রহমানের বাঁ পায়ের বুলেট গতির শট দূরের পোস্ট দিয়ে বেরিয়ে যায়। এরপর ম্যাচের ২৫তম মিনিটে কম্বোডিয়া ১০ জনের দলে পরিণত হয়। আরহামের মাথায় পা দিয়ে আঘাত দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন কেয়া ভিশাল। এরপর থেকে কম্বোডিয়াকে চাপে রাখে বাংলাদেশ।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে বাংলাদেশ প্রায় গোল করেই ফেলেছিল। তবে মোর্শেদ আলী-অপুদের আক্রমণ রুখে কম্বোডিয়ার গোলকিপার বাঁধার দেয়াল হয়ে দাঁড়ালে গোল পাওয়া হয়নি সাইফুল বারী টিটু শিষ্যদের। ফলে ১০ জনের দলের বিপক্ষে গোলশূন্য সমতায় বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
বিরতির পরও একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করে বাংলাদেশ। তবে চিরায়ত ফিনিশিং সমস্যায় গোলের দেখা পাওয়া হয়নি। ৪৮তম মিনিটে জটলা থেকে বাংলাদেশ গোল পায়নি। যদিও কম্বোডিয়ার গোললাইন থেকে বল ফেরানো ডিফেন্ডারের বল হাতে লাগা নিয়ে পেনাল্টির জোরালো আবেদন জানায় বাংলাদেশ। যদিও রেফারি সাড়া দেননি। এবারও বাধা গোলকিপার। একটু পর আরহামের ফ্রি কিক ক্রসবারের ওপর দিয়ে গেলে হতাশ হতে হয় দলের সবাইকে। ৭০তম মিনিটে মোর্শেদের শট ঠেকিয়ে গোল হতে দেননি গোলকিপার।
এরপর ৮৫তম মিনিটে বাংলাদেশকে হতাশ করে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল করে ফেলে স্বাগতিক কম্বোডিয়া। বক্সের সামনে থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন দারো থাচ। অবশ্য গোল হজম করে খেলায় ফেরার চেষ্টা চালায় বাংলাদেশ। ইনজুরি সময়ে পোস্টের সামনে থেকে বাংলাদেশি ফরোয়ার্ডের হেড পোস্টের উপর দিয়ে যায়। এরপর শেষ মুহূর্তে আরো একটা সুযোগ নষ্ট করলে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি। আগামী ২৩ অক্টোবর গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ফিলিপাইনের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।