২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জন্য বাজেট প্রণয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। তবে বাফুফের প্রস্তাবিত খসড়া বাজেটে ঘাটতি রয়েছে ২২ কোটি টাকারও বেশি!
বাজেটে স্পন্সর বাবদ প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৫ কোটি টাকা। এর পাশাপাশি ফিফা থেকে ১৩ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা, এএফসি থেকে ৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা, সাফ থেকে ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা, মাঠে বিজ্ঞাপন বোর্ড থেকে ৫০ লক্ষ টাকা, জেএফএ সাবসিডি ২৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের সাবসিডি হিসেবে ৫ কোটি টাকা পাওয়ার প্রত্যাশা বাফুফের। অর্থাৎ বাজেটে বাফুফের সম্ভাব্য আয় ধরা হয়েছে ৩১ কোটি ৪৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। তবে আয়ের তুলনায় ব্যয়ের পরিমাণটা অনেক বেশি। যার কারণে বাজেটে বড় অংকের ঘাটতি রয়েছে।
বছরজুড়ে বাফুফের খরচের খসড়া তালিকা বেশ বড়। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ আয়োজনে বাজেট ধরা হয়েছে প্রায় ৪ কোটি ৫০ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা। এছাড়া ফেডারেশন কাপ আয়োজনে প্রায় ১ কোটি সাড়ে ৭ লাখ টাকা, চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ আয়োজনে ১ কোটি ৯৫ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা এবং স্বাধীনতা কাপ আয়োজনে বাজেট ধরা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ১২ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা। এছাড়া বয়সভিত্তিক বিভিন্ন ঘরোয়া টুর্নামেন্ট, স্কুল ফুটবল, নারী ফুটবল এবং জাতীয় দলের অনুশীলন সহ লোকাল টুর্নামেন্ট আয়োজন বাবদ খরচ ধরা হয়েছে ৩৩ কোটি ৮৯ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা।
এছাড়া আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট, এএফসি ও সাফের অ-১৭ ও অ-২০ বাছাইপর্বে দলের ক্যাম্প ও টুর্নামেন্ট খরচ, অ-১৯ ও অ-১৬ নারী সাফের ক্যাম্প ও টুর্নামেন্ট খরচ, নারী জাতীয় দলের প্রীতি ম্যাচ এবং সাফে ক্যাম্প ও টুর্নামেন্ট খরচ এবং জাতীয় দলের প্রীতি ম্যাচ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে খেলার জন্য খরচ বাবদ বাজেটে ধরা হয়েছে ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ লোকাল এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট বাবদ বাফুফের অনুমিত ব্যয় ৪৪ কোটি ১৪ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা।
এছাড়া প্রশাসনিক ও অন্যান্য খরচ, বেতন/বোনাস অন্যান্য ভাতা এবং পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, টেলিফোন ও অন্যান্য বিল বাবদ খরচ ধরা হয়েছে আরো ১ কোটি ১৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। অর্থাৎ বাজেটে বাফুফের অনুমিত মোট খরচ প্রায় ৫৪ কোটি ২৯ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকা। ফলে বাজেটে ঘাটতি রয়েছে ২২ কোটি ৮০ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা। এবার বছর জুড়ে এই ঘাটতি কিভাবে পূরণ করবে বাফুফে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
আগামি ২৯ জুন (শনিবার) উক্ত বাজেট বাফুফের সাধারন সভায় প্রস্তাবিত হবে।