বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এবার এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) থেকে বড় অঙ্কের আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে। প্রতি বছর যে ৫ লাখ ডলার নিয়মিত পেয়ে থাকে বাফুফে, তার বাইরেও ২০২৫ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত অতিরিক্ত ১০ লাখ ডলার সহায়তা দেওয়া হবে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য। এই বরাদ্দ ব্যয় করা যাবে স্টেডিয়াম সংস্কার, নতুন অবকাঠামো নির্মাণ বা ফেডারেশন ভবনের উন্নয়ন কাজে।
গত ১২ এপ্রিল মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এএফসির কংগ্রেসে অংশ নেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল, সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরি হ্যাপি এবং সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার। কংগ্রেস থেকে ফিরে সহ-সভাপতি হ্যাপি জানান, নিয়মিত সহায়তার বাইরে এএফসি প্রতিবছর আরও আড়াই লাখ ডলার করে দেবে। এটি বাফুফের অনুরোধের ভিত্তিতে অনুমোদন পেয়েছে। মূলত, এশিয়ার ফুটবল উন্নয়নে একটি বিশেষ প্রকল্প চালু করেছে এএফসি, যেখানে প্রতি দেশকে বছরে দুই লাখ ডলার করে চার বছরে মোট আট লাখ ডলার দেওয়া হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ অতিরিক্ত পঞ্চাশ হাজার ডলারের জন্য আবেদন করায় সেটি অনুমোদিত হয়েছে।
সাধারণ সম্পাদক তুষার জানান, নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই অর্থ অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যয় করা হবে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম স্টেডিয়াম বাফুফেকে বরাদ্দ দিয়েছে। এএফসির নতুন অনুদানের জোরেই স্টেডিয়াম সংস্কারে হাত দিতে পারছে ফেডারেশন। ভবিষ্যতে চাইলে ফেডারেশন ভবনের সংস্কারেও এই অর্থ ব্যবহার করা যাবে।
মালয়েশিয়ায় কংগ্রেসের পাশাপাশি জাপান, কাতার ও সৌদি আরবের সঙ্গে বাফুফের প্রতিনিধিদের বৈঠক হয়েছে। এই তিন প্রভাবশালী দেশ বাংলাদেশ ফুটবলের সঙ্গে যৌথ কার্যক্রম চালাতে আগ্রহ দেখিয়েছে। বিশেষ করে জাপান দীর্ঘদিন ধরে বাফুফেকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে এবং সৌদি আরবে বাংলাদেশ দলের জন্য ক্যাম্পের সুযোগ করে দিয়েছে বিনা খরচে। সব মিলিয়ে, এএফসির নতুন অর্থসহায়তা ও আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশনগুলোর আগ্রহ—বাংলাদেশ ফুটবলের সামনে একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ তৈরির ইঙ্গিত দিচ্ছে।