বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম দেশের ফুটবলের মূল কেন্দ্রবিন্দু। এই স্টেডিয়ামকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে পূর্বেই সংস্কারের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। কিন্তু পরিকল্পনা ও বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও মাঠের ফুটবল ব্যস্ত সূচীর জন্যে কাজ শুরু করতে বিড়ম্বনা হচ্ছে। এছাড়াও আছে সময়মতো সংস্কার প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন না হলে টাকা ফেরত চলে যাওয়ার ঝুঁকি। এইরকম চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে কি করণীয় তা ঠিক করতে আজ সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দীনের সাথে সৌজন্য সভা করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়ামটি বাফুফে ব্যবহার করলেও এর তত্ত্বাবধানে আছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। তাই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিকল্পনা অনুযায়ী সংস্কার কাজ চলবে। এই বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ড্রেসিংরুম সহ আরো অনেক বিষয় ফুটবল ফেডারেশনের কি চাহিদা, সেটা আমাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে জানাতে বলেছি। তাদের চাহিদা মোতাবেকই আমরা সংস্কার করব।’
পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২২ সালের দিকে শেষ হবে স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ। স্টেডিয়ামটি ফুটবলের মূল ভেন্যু হওয়ায়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে। এই বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই ফুটবলও চলুক পাশাপাশি কাজও হোক। লীগ শেষ হওয়ার পরপরই আমরা কাজ শুরু করবো। খেলাটা কিছু দিনের জন্য স্থগিত না হলে তো কাজ করা যাচ্ছে না। স্টেডিয়ামে মাঠ সহ গ্যালারির আরো অনেক কাজ রয়েছে। আমরা মাঠের কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করার চেষ্টা করব। মাঠের কাজ ৫ আগস্ট লিগের পর শুরু করলেও আগামীকাল থেকেই গ্যালারির আরো অন্য কাজগুলো ধীরে ধীরে শুরু হবে।’