আর্থিক অসঙ্গতির কারণে বাফুফে থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ। নিষিদ্ধ হলেও বাফুফের কাছে তার কিছু পাওনা রয়ে যায়। সেই অর্থ আদায়ের জন্য তার পক্ষের নিয়োগকৃত আইনজীবী নোটিশ প্রদান করে। কিন্তু নোটিশের তারিখ পার হলেও এখনো পর্যন্ত টাকা আদায় করতে পারেনি আবু নাইম সোহাগ।
গত বছরের ১৪ ই এপ্রিল বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রায়ক সংস্থা ফিফা আর্থিক অসঙ্গতির কারণ দেখিয়ে আবু নাইম সোহাগকে নিষিদ্ধ করে। তার তিনদিন পর বাফুফেও তাদের ভবিষ্যত সকল কর্মকান্ড থেকে সোহাগকে নিষেধাজ্ঞা জানায়। নিষেধাজ্ঞা পেলেও বাফুফের সাথে সোহাগের আর্থিক লেনাদেনা রয়ে যায়। নিজের পাওনা চেয়ে নিজের উকিলের মাধ্যমে বাফুফের কাছে নোটিশ পাঠায় বাফুফের এই সাবেক সাধারণ সম্পাদক। পরপর দুইবার চিঠি পাঠলেও ফলাফল পাননি সোহাগ। নোটিশের তারিখ পেরেছি গেলেও কাজের কোনো অগ্রগতি হয়নি।
এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মুঠোফোনে আবু নাইম সোহাগ অফসাইডকে বলেন, “আমার বেশ কিছু পাওনা ছিলো বাফুফের কাছে। তারা এগুলা ক্লিয়ার করেনি। একারনে আমি তাদের দুবার চিঠি দিয়েছিলাম কিন্তু তারা কোন সাড়া না দেওয়াতে আমার ল’ইয়ার উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে। যেটার ডেডলাইন ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। আমি আগামী সপ্তাহে আবার যোগাযোগ করবো তাদের সাথে।”
অন্যদিকে আবু নাইম সোহাগের বিষয়টি অর্থ বিষয়ক আগামী আরেকটি সভায় আলোচনা করবে বলে জানান বাফুফের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার। তুষার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “তার বিষয়টি কাল উঠেছিল, আমাদের সামনে আরেকটি সভা রয়েছে শুধুই আর্থিক বিষয় নিয়ে। তখন এই বিষয়ে বোর্ড সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।”
সোহাগ উকিল নোটিশে বাফুফের কাছে কোটি টাকা দাবি করেছেন। সোহাগের পাশাপাশি বাফুফের আরো তিনজন কর্মকর্তাও সেই সময় নিষিদ্ধ হয়েছিলো। নিষিদ্ধ তিনজন হলেন- আবু হোসেন, মিজানুর রহমান ও অনুপম হোসেন। আবু নাইম সোহাগের মতো তারাও বাফুফের কাছে নিজের পাওনা অর্থ চেয়েছেন।
অপর দিকে তিনি ফুটবলিয় কার্যক্রমে না থাকলেও আগামী ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে কাউন্সিলর হয়েছেন তার স্ত্রী তাসমিয়া নাইম বিন্তি। তিনি দ্বিতীয় বিভাগ লিগের ক্লাব বিক্রমপুর কিংসে থেকে কাউন্সিলর হয়েছেন।
প্রথমবার কাউন্সিলর হয়েই তিনি বাফুফের নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে গুঞ্জন আছে ফুটবল পাড়ায়।