আরো এক বছর বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচের দায়িত্বে থাকছেন হাভিয়ের ক্যাবরেরা। চুক্তি নবায়নের পর আজ (বুধবার) বাফুফে ভবনে প্রথমবারের মতো ন্যাশনাল টিমস কমিটির সঙ্গে আলোচনায় বসেন ক্যাবরেরা। সেখানে মূলত আগামী মার্চের ফিফা উইন্ডো কাজে লাগানো এবং সম্ভাব্য জুন-জুলাইয়ে অনুষ্ঠেয় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভালো করা, ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে নামতে নামতে প্রায় তলানিতে ঠেকে যাওয়া থেকে একটু মাথা তুলে দাঁড়ানোর আকাঙ্ক্ষা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের। নতুন চুক্তি করার পর আলোচনায় বসে কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরাও জানালেন, চাওয়া পূরণে মাঠের প্রস্তুতি শুরুর প্রয়োজন।
২০০৩ সালে প্রথম এবং সবশেষ সাফের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। পরের আসরে ফাইনালে উঠে হেরেছিল ভারতের কাছে। এরপর থেকে চলছে দুঃসময়; যে বৃত্তে গত সাত আসর ধরে বন্দী বাংলাদেশ। ২০২১ সালের সবশেষ আসরেও রাউন্ড রবিন লিগের বৈতরণী পার হতে পারেনি দল। ফিফা র্যাঙ্কিংয়েও দীর্ঘসময় ধরে ধুঁকছে বাংলাদেশ। এক-দুই ধাপ এগুনোর তুষ্টি মাঝে মিললেও বর্তমানে ১৯২তম স্থানে আছে দল। তাই বরাবরের মতো নতুন বছরেও সাফ ও ফিফা র্যাঙ্কিং পাখির চোখ করে পরিকল্পনা সাজাচ্ছে বাফুফে। ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ অবশ্য বললেন, এই পরিকল্পনা বর্তমানে রয়েছে প্রাথমিক পর্যায়ে।
জানুয়ারি মাস শেষের পথে। মার্চের উইন্ডোর আগে বেশ খানিকটা সময় হাতে আছে বাফুফের। দেশের ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থাটির চাওয়া এই সময়ের মধ্যে সমমানের দলগুলোর সঙ্গে খেলে প্রস্তুতি শাণিয়ে নেওয়ার। বাফুফের ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ এ ব্যাপারে বলেন, “মূলত আমাদের আজকের আলোচনা ছিল মার্চে আমাদের যে ফিফা উইন্ডো আছে, সেটার জন্য আমরা কী রকম প্রস্তুতি নিতে পারি, কাদের বিপক্ষে খেলতে পারি এই বিষয়গুলো। মার্চের বিষয়টি আলোচনার কারণ, জুনে বা জুলাইতে যে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ হতে যাচ্ছে, সাফের জন্য আমাদের প্রস্তুতি যেন ভালো হয়। সবই আমরা প্রস্তাবনা আকারে আলোচনা করেছি।”