ফুটবল ও পানির মধ্যে যেনো একটা নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান! কিছুটা অবাক শুনাচ্ছে না কথাটা? ফুটবল খেলায় একজন খেলোয়াড়ের পিপাসা লাগা খুবই স্বাভাবিক। কোনো কোনো সময় খেলার পরিস্তিতি, আবহাওয়া ইত্যাদি কারণে সেই পিপাসা মাত্রা ছাড়ায়। আর সেই পিপাসা নিবারণের অন্যতম মাধ্যম পানি। আর ফুটবলারদের নিশ্চয়ই যেকোনো পানি দেওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে দরকার বিশুদ্ধ পানি বা মিনারেল ওয়াটার। এত দিন বাফুফে নিজস্ব খরচেই এই পানির ব্যবস্থা করে আসছিল। এতদিন পর প্রথমবারের মতো বেভারেজ পার্টনার পেল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
এখন থেকে বাফুফে আয়োজিত সকল খেলায় প্রয়োজনীয় পানি সরবারহ করবে “টি.কে. গ্রুপ”-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠান “পুষ্টি”। রোববার বাফুফে ভবনে “টি.কে. গ্রুপ”-এর সঙ্গে দুইবছরের চুক্তি সম্পন্ন করেছে বাফুফে।
নিজেদের নতুন বেভারেজ পার্টনার পেয়ে বেশ উৎফুল্ল বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘বছরে আমাদের পানির খাতে ৫৪ লাখ টাকা খরচ হয়। এখন থেকে সেটা আর লাগছে না। পুষ্টি আমাদের সকল কার্যক্রমে পানি সরবারহ করবে।’
তবে উল্টো চিত্রও ছিল। বাফুফেতে কাজী সালাউদ্দিন-সালাম মুর্শেদীরা এক যুগের বেশি সময় ধরে আছেন। দীর্ঘদিন থাকার পরেও বাফুফের মাকের্টিংয়ে পেশাদারিত্ব নেই, এমনকি নেই মার্কেটিং কমিটিও। এখনো জাতীয় দলে নেই কোনো স্থায়ী স্পন্সর। এ প্রসঙ্গে বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি বলেন, ‘আসলে যখন যে টুর্নামেন্ট বা কাজ হয় তখন সেই কমিটির প্রধানরা মূলত মার্কেটিংয়ের কাজ করেন। সেই অর্থে বলতে পারেন আমরাও মার্কেটিং অফিসার। তবে এটা সত্যি আমাদের মার্কেটিংয়ে পেশাদারিত্বে ঘাটতি ছিল। যার প্রভাবে স্পন্সরে কমেছে। সেটা কাটিয়ে উঠছি সামনে।’
বাংলাদেশের ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে গর্ববোধ করার পাশাপাশি বাফুফের সঙ্গে চুক্তি করতে পেরে বেশ উচ্ছ্বসিত “টি.কে. গ্রুপ“- এর ডিরেক্টর মার্কেটিং মোফাচ্ছেল হক সংবাদ সম্মেলন বলেন, ‘আমরা সালাম ভাই, সালাউদ্দিন ভাই পরবর্তীতে আসলাম ভাই, কায়সার হামিদদের খেলা দেখেছি। ফুটবলের অনেক জনপ্রিয়তা ছিল। সেই ফুটবলের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমরা দারুণ খুশি। ভবিষ্যতে আমরা ফুটবলের আরো অন্য ক্ষেত্রেও থাকার চেষ্টা করব।’
বাফুফে ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন ও চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ, বাফুফে সদস্য জাকির হোসেন চৌধুরি, ইমতিয়াজ হামিদ সবুজ, ফিফা কনসালটেন্ট মো. রফিকুল ইসলাম সহ ছাড়াও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান “টি.কে. গ্রুপ”- এর জেনারেল ম্যানেজার (কনজ্যুমার ডিভিশন) আলম চৌধুরী, হেড অব ব্র্যান্ড অ্যান্ড কমিনিকেশনস ইব্রাহিম খলিলসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।