অপ্রত্যাশিত পরিণতির দিকে নিজেদের ঠেলে দিলো বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের বিদ্রোহী খেলোয়াড়রা। অনর্থক কারণকে অস্ত্র বানিয়ে কোচের সাথে দ্বন্ধে জড়িয়ে নিজেদের অপেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছিলো সাবিনারা। অবশেষে সেটার শাস্তি ভোগ করতে যাচ্ছে তারা। শাস্তি হিসেবে তাদেরকে বাফুফে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাতে পারে বলে জোর গুঞ্জন রয়েছে।
কোচ পিটার বাটলারের বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের দ্বন্ধ সাফের শুরু থেকে। পাকিস্তানে বিপক্ষে ম্যাচকে কেন্দ্র করে দ্বন্ধের সৃষ্টি হয়। সেই ম্যাচে কোচ তার পছন্দ অনুযায়ী দল্প সাজায়, এতে করে কোচের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সিনিয়র খেলোয়াড়েরা। বিপরীতে কোচও সিনিয়র খেলোয়াড়দের অপেশাদারিত্ব আচরণের উদাহরণ তুলে ধরেন। তার মতে সিনিয়র খেলোয়াড়েরা মাঠের চেয়ে নিজেদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো সামলাতে বেশী মনোযোগ। এছাড়া তিনি তাদের পারফরম্যান্স ব্যর্থতার কথাও তুলে ধরেন।
পরবর্তীতে সাফ জয়ের পর এই ঘটনা প্রদীপের আড়ালে চলে গেলেও পিটার বাটলারের সাথে বাফুফে নতুন চুক্তিতে গেলে নড়েচড়ে বসে সাবিনা-সানজিদারা। তারা পিটার বাটলারের অধীনে অনুশীলন বন্ধ করে দেয় এবং তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ দাঁড় করিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে। এরপর বাফুফে সভাপতি তাবিথ আওয়াল কোচ ও খেলোয়াড়দের মধ্যে এই সমস্যা সমাধানের জন্য বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসানের নেতৃত্বে একটি জরুরি কমিটি গঠন করেন।
এই কমিটি তদন্ত করে বিদ্রোহী খেলোয়াড়দের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর জন্য সুপারিশ করেছে বলে এক গোপণসূত্রের মাধ্যমে জেনেছে টিম অফসাইড। বিগত বছরগুলোতে নারী দলের মাধ্যমে সফলতার ছোঁয়া পেলেও জরুরি কমিটি গুরুত্ব দিয়েছে শৃঙ্খলাকে। তবে বিদ্রোহকারী খেলোয়াড়ের সংখ্যা ১৮ জন হলেও শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে শাস্তি হিসেবে বিশেষ ৬ জন নারী ফুটবলারকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর সুপারিশ করেছে। শাস্তির আওতাধীন ৬ নারী ফুটবলার হলেন- সাবিনা খাতুন, সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্ডা, কৃষ্ণা রাণী সরকার, মাসুরা পারভীন ও ঋতুপর্ণা চাকমা। এছাড়া পরবর্তীতে আরো শাস্তি জুড়তে পারে তাদের ভাগ্যে। অন্যদিকে তদন্ত চলাকালীন সময়ে মিডিয়ার সামনে বক্তব্য দেওয়া কারণে কোচ পিটার বাটলারকে কারণদর্শনাও নোটিশ দিবে ফেডারেশন।