প্রতিভাবান ক্ষুদে ফুটবলার খুঁজে বের করার লক্ষ্যে একাডেমি কাপ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার দেওয়া আর্থিক সাহায্য কাজে লাগিয়ে সারাদেশের ১৭০টি একাডেমিকে নিয়ে মোটামুটি বৃহৎ পরিসরে অনূর্ধ্ব-১৫ পর্যায়ের এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি। গতকাল (মঙ্গলবার) কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে একাডেমি কাপের উদ্বোধন করেন বাফুফের নির্বাহী সদস্য মহিদুর রহমান মিরাজ, সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষারসহ ডেভলপমেন্ট কমিটিতে থাকা সাবেক ফুটবলাররা।
১৯ জেলার ২৪টি স্থানে ১৭০টি একাডেমি গ্রুপভিত্তিক এ টুর্নামেন্ট খেলবে। যেখানে এক তারকা ১৫০টি ও দুই তারকা একাডেমি ২০টি। ২৪ জোনের ২৪ চ্যাম্পিয়ন একাডেমি খেলবে নকআউট পর্ব। নকআউটে বিজয়ী ১২ একাডেমি উঠবে চূড়ান্ত পর্বে। চূড়ান্ত পর্বের খেলা একটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ১২ দল দুই গ্রুপে বিভক্ত হবে। প্রতি দল চূড়ান্ত পর্বে পাঁচ ম্যাচ খেলায় দুই গ্রুপের শীর্ষ দুই দল সেমিফাইনালে খেলবে। সেমিফাইনালের বিজয়ী দল খেলবে ফাইনাল।
একাডেমি কাপে একটি ব্যতিক্রমী নিয়মও থাকছে। কোনো একাডেমি গ্রুপ বা নকআউটে বাদ পড়লে ওই একাডেমির ভালো ফুটবলারের সুযোগ থাকছে অন্য দলের হয়ে খেলার। ২৪টি অঞ্চলে বাফুফের ২৪ জন কোচ থাকবেন। তারা মেধাবী খেলোয়াড় চিহ্নিত করবেন। বয়স লুকানো রোধে বাফুফে জন্মনিবন্ধনকেই ভিত্তি হিসেবে ধরছে। এছাড়া বাফুফে ১৭০ একাডেমিকে অংশগ্রহণ ফি বাবদ ১০ হাজার টাকা করে দেবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে ওঠা প্রতি দল পাবে ৫০ হাজার টাকা। ফিফার কাছ থেকে এই ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্ট খাতে বিশেষভাবে কোটি টাকার মতো বরাদ্দ পেয়েছে বাফুফে। ফিফার সাহায্য এই বছরের জন্য হলেও বাফুফে আশাবাদী আয়োজনের মাধ্যমে সফলতা বজায় রেখে আগামীতেও ধারাবাহিকতা রক্ষা করার। এই টুর্নামেন্টের মাধ্যেমে মেধাবী ফুটবলার খুঁজে এলিট একাডেমিতে যুক্ত করতে চায় বাফুফে।