দেশের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেই বাফুফে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এরিমধ্যে নিজেদের কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। আলোচিত-সমালোচিত এই নির্বাচনে এবারে আবারো লড়তে যাচ্ছেন কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এবং তার বিপক্ষে নির্বাচন করবেন মোহামেডানের তারকা ফুটবলার ও বাফুফের সহ-সভাপতি বাদল রায়।
ফুটবল সংগঠক তরফদার রহুল আমীন এর আগেই বাফুফে নির্বাচনের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন এবং এবারের নির্বাচনে তিনি দাঁড়ানোর কথা থাকলেও সরে যান। রহুল আমীনের পর এবার প্রশ্ন তুললেন প্রার্থী বাদল রায়। তার অভিযোগ হচ্ছে কার্যনির্বাহীর কমিটির অনুমোদন ছাড়া ভোটারদের কাছে ডেলিগেট ফরম পাঠানো হচ্ছে এবং যেসকল ক্লাবের ভোটার হওয়া যোগ্যতা নেই তাদের ভোটার করার জন্য তোড়জোর শুরু করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। দুই পৃষ্ঠার অভিযোগ পত্রে তিনি আরো বলেন, ক্লাব লাইসেন্সিংয়ের আওতাভুক্ত এমন ক্লাবকেও শর্ত পূরন করতে বলা হচ্ছে এবং অনেক ক্লাবকে টাকা প্রলোভন দেখানো হচ্ছে যা নির্বাচনের সংবিদানের সাথে যায় না।
তিনি সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন বাফুফের সাধারন সম্পাদক আবু নাইম সোহাগের বিরুদ্ধে। এসবের মধ্যে আবু নাইম সোহাগের সরাসরি হস্তক্ষেপ আছে বলে মনে করেন তিনি। এসব বিষয় নিয়ে তিনি রবিবার বাফুফের বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে চিঠি দেন এবং হুশিয়ারী দেন এইগুলো ব্যতীত হলে তিনি এএফসির কাছে যাবেন।
বাফুফে নির্বাচন সামনে রেখে ডেলিগেট যাচাই-বাছাইয়ের জন্য যে সদস্য কমিটি করা হয়েছে তা নিরপেক্ষ করার দাবী আগেই তুলেছিলেন তরফদার রহুল আমিন। এই নিয়ে বাফুফের সাধারন সম্পাদক জানিয়েছেন তিনি এবং বাফুফের সচিবালয় পুরোপুরি গঠনতন্ত্র অনুসারে কাজ করছে। কাজে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই এবং টাকা দেওয়ার কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেন তিনি।
নির্বাচন যত কাছে আসছে নতুন কিছু বেরিয়ে আসছে। শেষ কোথায় হয় তাই এখন দেখার বিষয়।