তুমুল আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশে সরকার পতন ঘটে। আর সরকার পতনের পরই প্রায় সব ক্ষেত্রেই পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনেও পরিবর্তনের দাবি নিয়ে সরব হয়ে ওঠে সমর্থকরা। উল্লেখযোগ্য সাফল্য ছাড়াই দীর্ঘদিন বাফুফের সভাপতি পদ আঁকড়ে রাখা কাজী সালাউদ্দিনকে পদত্যাগের আলটিমেটাম দেয় বাংলাদেশ ফুটবল আল্ট্রাস।
বাফুফে ভবনে গিয়ে চিঠি দেওয়ার পর আজ বাফুফে ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তারা। সেখানে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার ও মিডিয়া ম্যানেজার সাদমান সাকিব তাদের সঙ্গে এসে কথা বলেন। পরে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক সংবাদ মাধ্যমে বলেন, বাফুফে একটি স্বাধীন সংস্থা। বাফুফেতে সরকারের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই। ফিফার অনিয়ম অনুযায়ী, ফেডারেশনের ওপর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকলে তাদের সদস্য পদ স্থগিত করা হয়। এমনটা হয়েছে অনেকে দেশেই। তাই সবাইকে এ ব্যাপারটিকে গুরুত্বসহকারে দেখার আহ্বান তার।
তুষার বলেন, ‘অনেকেই বলছেন, এখানে (বাফুফে) রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হলে তবেই শুধু সাসপেন্ড হবে। আসলে কিন্তু তা না। রাজনৈতিক ব্যাপারটা একটা জায়গা। অন্য আরেকটা জায়গা হচ্ছে, বাফুফেকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে হবে। তৃতীয় পক্ষ এখানে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। এই ব্যাপারটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যা কেউ বলছে না। ফিফা সবসময় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে, খোঁজ-খবর নেয়।’
এর সঙ্গে তিনি আরো যোগ করেন, ‘সবাই ফুটবলকে ভালোবাসে। তাই আমি বলবো, বাফুফের ওপর কোনোরকম হস্তক্ষেপ যেন না আসে, বাফুফেকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দেয়। আগামী ২৬ অক্টোবর আমাদের নির্বাচন। সেখানে নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় সব সুযোগ সামনে রয়েছে। তো কারো কোনো দাবি থাকলে তারা আসুক, নির্বাচন করুক, গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করুক।’
এই বছর থেকে ঘরোয়া ফুটবলে লিগ, ফেডারেশন কাপ ও স্বাধীনতা কাপের সঙ্গে আরো দুই নতুন টুর্নামেন্ট সুপার কাপ এবং লিগ ও ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে আরো একটি শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাফুফের। তাই কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে এই খেলাগুলো হুমকির মুখে পড়বে এবং এতে করে খেলোয়াড় ও দেশের ফুটবলই ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।