আবারও বাফুফে একাডেমি অচল হওয়ার পথে। ২০১৫ সালে সিলেটে হওয়া একাডেমি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় দফায় ঢাকায় ফোর্টিজ গ্রুপের অবকাঠামো ব্যবহার করে নতুন একাডেমি চালু করে ফেডারেশন। গত বছরই ব্রিটিশ কোচ অ্যান্ড্রু টার্নার ও বব রাইলস নিয়োগ পেয়েছিলেন কোচ হিসেবে। চুক্তি শেষ হওয়ায় আর ফেরা হচ্ছে না তাদের।
করোনা মহামারীর কারণে একাডেমি বন্ধ হওয়ায় খেলোয়াড়দের পাশাপশি কোচরাও শুরুতেই ছুটিতে চলে যান। তবে আর কোচ হিসেবে ফিরছেন না তারা এমনটা জানিয়েছেন বাফুফে’র সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। তিনি বলেন, ‘এই মুহৃর্তে আমরা জানি না খেলাই কবে শুরু করতে পারব। তারপর তো একাডেমি চালুর ব্যাপার। আগামী বছর যদি সেটা হয় তখন না হয় আমরা যোগাযোগ করব এই কোচদের সঙ্গে।’
গত এপ্রিলে চুক্তি শেষ হয় একাডেমির দুই ব্রিটিশ কোচ অ্যান্ড্রু টার্নার ও বব রাইলসের। জুন পর্যন্ত নতুন চুক্তির সম্ভাবনা থাকলেও গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক বিদায় বলেছেন টার্নার। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় কভিড নাইনটিন পরিস্থিতির এখনো উন্নতির কোনো সম্ভাবনা না থাকায় বাংলাদেশের যুব ফুটবলের সঙ্গে আমার সম্পর্ক কার্যত শেষ হয়ে গেল। এখন যুক্তরাজ্যেই অথবা বাইরে নতুন কোনো প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার অপেক্ষায়।’ গত অনূর্ধ্ব-১৮ সাফ ও এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ দলের দায়িত্বে ছিলেন টার্নার ও তার সহকারী।
দেশের প্রায় ১২০ টি একাডেমিকে বাফুফে নিবন্ধিত করছে, তাদের নানারকম সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু হতাশার কারণ, দ্বিতীয় দফায় চালু করে কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে বাফুফের নিজস্ব একাডেমির। ইতিমধ্যে ঐ জায়গায় করোনায় আক্রান্তদের জন্য আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছে। তাই তো প্রশ্ন, আবার শুরু হবে তো বাফুফে একাডেমির কার্যক্রম?