বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এর প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের ২০২৪-২৫ মৌসুমের প্রথম পর্বে দুর্দান্ত পারফর্মেন্স দেখিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ৯ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে। আবাহনী লিমিটেড ঢাকা ২০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে এবং বসুন্ধরা কিংস ১৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

তবে পুরো পর্ব জুড়েই ব্যস্ত ছিলো রেফারিরা। কার্ডের ছড়াছড়িতে প্রথম পর্বে রেফারিরা মোট ১৮৩ কার্ড দেখিয়েছেন, যার মধ্যে ১৭৫টি হলুদ কার্ড এবং ৮টি লাল কার্ড। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব সর্বাধিক ২৬ কার্ড পেয়েছে, যার মধ্যে ২৪টি হলুদ এবং ২টি লাল।

প্রথম পর্বে মোট গোল হয়েছে ১৩৫টি। এর মধ্যে বাংলাদেশি খেলোয়াড়রা ৭১টি এবং বিদেশি খেলোয়াড়রা ৬১টি গোল করেছেন। এছাড়া ৩টি আত্মঘাতী গোল হয়েছে। রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির স্ট্রাইকার স্যামুয়েল বোয়াটেং ১১ গোল নিয়ে শীর্ষ গোলদাতা তালিকায় সবার উপরে আছেন। তিনি এই পর্বে একটি চমৎকার ডাবল হ্যাটট্রিক করেছেন। বাংলাদেশীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭ গোল করেছেন বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাবের ফরোয়ার্ড আল-আমিন।

 

মোট ১১১টি অ্যাসিস্ট হয়েছে এই পর্বে। এর মধ্যে বাংলাদেশি খেলোয়াড়রা ৬৯টি এবং বিদেশি খেলোয়াড়রা ৪২টি অ্যাসিস্ট করেছেন। রহমতগঞ্জের মোস্তাফা আব্দুল খালেক এবং বসুন্ধরা কিংসের মিগুয়েল ফিগেইরা সমান ৬টি অ্যাসিস্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছেন। এক ম্যাচে হ্যাটট্রিক অ্যাসিস্ট করেছেন রহমতগঞ্জের মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন এবং বসুন্ধরার জোনাথন ফার্নান্দেস। ব্রাদার্স ইউনিয়নের রহমত মিয়া দুইবার থ্রো-ইন থেকে সরাসরি অ্যাসিস্ট করে নজির স্থাপন করেছেন।

মোহামেডান এবং আবাহনীর খেলোয়াড়রা সর্বাধিক ৮ বার করে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার জিতেছেন। মোহামেডানের সুলেমানে ডিয়াবাতে চারবার ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার জিতে তালিকার শীর্ষে রয়েছেন। ক্লিন শিটের দিক থেকে ৮ ম্যাচে গোল না খেয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছে আবাহনী লিমিটেড। আবাহনীর গোলরক্ষক মিতুল মারমা ব্যক্তিগতভাবে ৭টি ক্লিন শিট নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছেন।

Previous articleকেন মেয়েদের প্রীতি ম্যাচে প্রত্যাশিত সাড়া পায় না বাফুফে?
Next articleফেড কাপের কোয়ালিফায়ারে কিংস ও ব্রাদার্স, বিদায় ফর্টিসের

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here