বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের পর এবার বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশীপে গায়েও দাগ কেটেছে পাতানো ম্যাচের বদনাম। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পাতানো ম্যাচ শনাক্তকরণ কমিটি বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশীপ লীগে পাতানো ম্যাচের প্রমাণ পেয়েছে। এতে করে শাস্তির আওতায় পড়তে যাচ্ছে ক্লাবের খেলোয়াড়সহ টিম অফিশিয়ালগণ।
বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশীপ লীগের এবারের আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফর্টিস এফসি এবং রানার্সআপ হয় আজমপুর ফুটবল ক্লাব। দুই দলই আগামী আসরে প্রিমিয়ার লীগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেও আজমপুরের বিরুদ্ধে পাতানো ম্যাচের অভিযোগ থাকার কারণে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এখনো পর্যন্ত এই ব্যাপারে কোনো স্বীকৃতি দেয় নি। পাশাপাশি লীগ চলাকালীন সময়ে দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তা বিরুদ্ধে পাতানো ম্যাচের অভিযোগ তুলে দল ছেড়েছেন দলটির কোচ সাইফুর রহমান মনি। এছাড়া তিনি দুইটি দলের বিপক্ষে ম্যাচে বাফুফের কাছে চিঠিও জমা দিয়েছেন। এর ফলপ্রসূতিতে তদন্ত শুরু করে শনাক্তকরণ কমিটি। পরবর্তীতে তদন্ত কমিটি দোষীদের শনাক্ত করে।
ইতিমধ্যে বাফুফের পাতানো ম্যাচ শনাক্তকরণ কমিটি পাতানো ম্যাচের সাথে সম্পর্কিত খেলোয়াড় ও টিম অফিশিয়ালদের শনাক্ত করে বাফুফের নিকট প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে বাফুফের পাতানো ম্যাচ শনাক্তকরণ কমিটির চেয়ারম্যান হুমায়ুন খালিদ বলেন, ‘গত সপ্তাহেই আমরা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। আমরা ফুটবলার, কর্মকর্তা এবং ক্লাবের ত্রুটি খুঁজে পেয়েছি এ ক্ষেত্রে। নির্দিষ্ট ম্যাচ উল্লেখ করেই জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এটুকুই আমাদের কাজ। তারা এখন কী রকম শাস্তির আওতায় আসবে সেই সিদ্ধান্ত নেবে ফুটবল ফেডারেশন’।
শনাক্তকরণ কমিটি কতৃক রিপোর্ট পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে প্রফেশনাল লীগ কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী। তিনি বলেন, ‘কমিটির রিপোর্ট আমরা পেয়েছি। আমরা বলতে, এটা এখন আবার ডিসিপ্লিনারি কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। তারাই বিষয়টি চুলচেরা পর্যালোচনা করে আমাদের কাছে সুপারিশ পাঠাবে। এরপর নির্বাহী কমিটির অনুমোদন নিয়েই আমরা সিদ্ধান্তটা জানাবো।’
প্রিমিয়ার লীগের গত মৌসুমে পাতানো ম্যাচের সাথে যুক্ত থাকার কারণে শাস্তি আওতায় পড়ে আরামবাগ ক্রীড়া চক্রের দোষী খেলোয়াড় ও টিম অফিশিয়ালগণ। এতে করে আজীবন পেশাদার ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ হয় দলের কিছু কর্মকর্তা ও কোচিং স্টাফ এবং দলকে শাস্তিস্বরূপ প্রথম বিভাগ ফুটবলে নামিয়ে দেয়। বিভিন্ন মেয়াদে নিষিদ্ধ ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ হয়েছে দেশি-বিদেশি বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়।