বিপিএলের পর পাতানো ম্যাচের দায়ে এবার আঙুল উঠেছে ‘বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশীপ লীগের‘ দিকেও। এই পাতানো ম্যাচের প্রেক্ষিতে আজ বিকাল ৩:০০ টায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটির এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান হুমায়ুন খালিদ। এছাড়াও বাফুফের অন্যান্য সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত সভায় ‘বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশীপ লীগে’এবারের মৌসুমের বিভিন্ন খেলায় ম্যাচ ফিক্সিং বা ম্যাচ ম্যানিপুলেশনের বিষয়ে জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ ও বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রচারিত সংবাদের প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়। সভায় বিভিন্ন ক্লাবের সুনির্দিষ্ট ক্লাব কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়দের আগামী ১৩ ও ১৪ ই এপ্রিল বাফুফের পাতানো ম্যাচ শনাক্তকরণ কমিটির নিকট সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এই প্রসঙ্গে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু নাইম সোহাগ বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের বিভিন্ন গণমাধ্যমে, জাতীয় পত্রিকাগুলোতে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশীপ লীগে ম্যাচ ফিক্সিং বা ম্যাচ ম্যানিপুলেশন সংক্রান্ত যে রিপোর্ট গুলো এসেছে সে ব্যাপারে আমাদের বাফুফের পাতানো ম্যাচ শনাক্তকরণ কমিটির একটি মিটিং ছিলো। সভাতে যে ম্যাচগুলো,দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের নিয়ে এই এলিগেশন এসেছে, তার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে এবং এই বিষয়গুলো নিয়ে পরবর্তীতে আমাদের করণীয় কি সেই বিষয়গুলোও নির্ধারণ করা হয়েছে। বাফুফে এই বিষয়গুলো নিয়ে অধিকতর কাজ করবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই পাতানো ম্যাচ বা ম্যাচ ফিক্সিং খেলাধুলার মূল উদ্দেশ্যের পরিপন্থী। ফুটবল খেলায় ম্যাচ ফিক্সিং ফুটবলের পবিত্রতাকে নষ্ট করে। ফুটবল এই পবিত্রতা বা সৌন্দর্যটাকে ধরে রাখার জন্যে এই সকল পাতানো ম্যাচের বিষয়ে বাফুফের অবস্থান খুবই কঠোর। এই জিনিসগুলোই নিয়ে আজকে আমাদের বিভিন্ন আলাপ-আলোচনা হয়েছে।’