বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ও বিতর্ক – যেন একে অপরের পরিপূরক। একের পর এক বিতর্কে বারবার খবরের শিরোনাম হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। কয়েকদিন আগে খেলোয়াড়দের বেতন নিয়ে বিতর্কের জন্ম নেয় বাফুফে। এবার ফেডারেশনের স্টাফদের বেতন কাঠামো নিয়ে আলোচনায় বাফুফে।
বাফুফের বেতনভুক্ত প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাধারণ সম্পাদক। সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ ফিফার দ্বারা নিষিদ্ধ হওয়ার পর নতুন সাধারণ সম্পাদক হন ইমরান হোসেন তুষার। এর আগে তিনি ছিলেন প্রটোকল ম্যানেজার। প্রটোকল ম্যানেজার থেকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এরপর স্থায়ী সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন তুষার। ছয় মাসের ব্যবধানে নতুন সাধারণ সম্পাদকের বেতন বেড়েছে প্রায় পাঁচগুণ। এর পাশাপাশি গত কয়েক মাসে বাফুফেতে উচ্চ বেতনে বেশ কয়েকটি নিয়োগ হয়েছে। নতুন নিয়োগ প্রাপ্তদের বেতন পুরনো অভিজ্ঞদের চেয়ে বেশি। যদিও তাদের কর্মঅভিজ্ঞতা, যোগ্যতা পুরনোদের চেয়ে বেশি নয় এরপরও পদে এবং বেতনে উপরে।
আর এতেই বাফুফেতে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাই স্টাফদের বড় অংশ (৪২ জন) এমপ্লয়িং গ্রেডিং, এইচআর পলিসি, বেতন কাঠামো প্রসঙ্গে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে চিঠি দিয়েছেন। সেই চিঠির অনুলিপি দেয়া হয়েছে সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, চার সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে। এএফসি কংগ্রেস এবং ফিফা কংগ্রেসের জন্য বাফুফের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা থাইল্যান্ড যাচ্ছেন। এই সফর শেষে দেশে ফিরে হয়তো স্টাফদের চিঠি নিয়ে আলোচনায় বসতে পারে বাফুফে। এবার দেখার বিষয় এই বিতর্ক থেকে কিভাবে মুক্তি পায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।