প্রতিশোধটা অবশেষে নিয়েই নিলো বাংলাদেশ। গত কিছুদিন আগে রেফারী ভূল সিদ্ধান্তে ফাঁদে পড়ে সাফ অ-১৯ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হতে হয়েছিলো বাংলাদেশকে। তবে এবার সাফ অ-১৬ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপে সেই ভুলটা করে নি বাংলাদেশ। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ, শুধু ম্যাচেই ফিরে নি, টাইব্রেকারে শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নের ট্রফি নিজেদের করে নিয়েছে আল্পি-প্রীতিরা।
ম্যাচের দুই অর্ধে দুইটি গোল হয়েছে। ম্যাচের প্রথমার্ধে গোলটি করে ভারত। খেলা শুরুর মাত্র ৫ মিনিট যেতে না যেতেই গোলের দেখা পেয়ে গিয়েছিল ভারতীয় দল। বলিফিলিয়া সুলাইয়ের পিনপয়েন্ট থ্রু পাস থেকে বাংলাদেশের রক্ষণ ভেদ করে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গোলটি আদায় করেছিলেন ভারতীয় দলের নম্বর নাইন আনুস্কা কুমারী।
ম্যাচে সমতা ফিরে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় বাংলাদেশকে। ম্যাচের প্রথমার্ধ অতিক্রান্ত হয়ে দ্বিতীয়ার্ধে অর্ধেক সময় পার হয়ে যাওয়ার পর ম্যাচে ফিরে আসে সাইফুল বারী টিটু শিষ্যরা। ৭০ মিনিটের মাথায় মৌমিতা খাতুনের কর্ণার কিক থেকে দলের হয়ে সমতাসূচক গোলটি করেন মরিয়ম বিনতে হান্না। এতে করে ম্যাচে ফলাফল দাঁড়ায় ১-১ গোলে। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত এই স্কোরলাইন বজায় থাকলে সরাসরি টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচের ভাগ্য।
পেনাল্টির শুরু কপাল পুড়ে বাংলাদেশের। বাংলাদেশের প্রথম শুট নেন সুরভী আকন্দ প্রীতি। প্রীতি সেই শুট ঠেকিয়ে দেন ভারতীয় দলের বদলি গোলরক্ষক সুরেশমণি কুমারী। তবে ভারতীয় দলের খেলোয়াড় প্রথম খেলোয়াড় গোল করতে সক্ষম হন। কিন্তু ভারতীয় দলের দ্বিতীয় শুটার অনিলা দেবীর শট ঠেকিয়ে দিলে, টাইব্রেকারে ১-১ গোলে সমতা আসে। বাংলাদেশের হয় তৃতীয় শুট নেন থুইনুই মারমা। সেখান থেকে গোলও পান তিনি। থুইনুই মারমা গোল করলেও ভারতীয় দলের হয়ে তৃতীয় শুট নিতে আসা বলিফিলিয়া সুলাইয়ের শট আবারো আটকা পড়ে ইয়ারজান বেগমের হাতে।
খেলার মোড় ঘুরে পঞ্চম শুটআউটে। টাইব্রেকারের ফলাফল তখন ২-২। দুইদলের দুইজন গোল করেছে এবং দুইজন গোল করতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশের হয়ে পঞ্চম শুট নিতে আসেন সাথী মুন্ডা। সাথী নির্ভুলভাবে বলকে জালে জড়ান। এতে করে টাইব্রেকারে ফলাফল ৩-২ এ। ফলে শেষ শুট থেকে গোল করা ভারতের জন্য একেবারে দরকারী হয়ে পড়ে। ভারতের হয়ে শেষ শুটটি করতে আসেন দেবজানি নিন্দা। দেবজানি শুট করেন গোলের মাঝ বরাবর এবং খানিকটা লাফিয়ে বলকে আটকে দেন বাংলাদেশ দলের গোলরক্ষক ইয়ারজান। ফলে শেষ টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে জয়ে শিরোপার দেখা পায় বাংলাদেশ অ-১৬ নারী ফুটবল দল।