পক্ষপাতমূলক রেফারিং নিয়ে দেশের ফুটবল সরগরম। অনেক আগে থেকেই চলে আসা এই সমস্যা বর্তমানে তুমুল আলোচনায়। চলতি মৌসুমে কয়েক দফায় রেফারিদের সিদ্ধান্ত ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে বলে ক্লাবগুলো দাবি জানিয়েছে। এই সমস্যা সমাধানে ফিফার নতুন সংযুক্তি ভিএআর (ভিডিও এসিস্টেন্ট রেফারি) আনাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
মতিঝিলস্থ বাফুফে ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘ রেফারির সমস্যা এটি গোটা পৃথিবীতেই আছে। নতুন কিছু নয়। এইজন্যই ফিফার নতুন সংযোজন ‘ভিএআর’। আপনারা যদি পেছনে ফিরে দেখেন, ম্যারাডোনার ‘হ্যান্ড অফ গড’ আছে, এইরকম আরো অনেক আছে। রেফারি তো মানুষ। এই জন্য ভিএআর আনতে আমরা সাধারণ সম্পাদককে(আবু নাঈম সোহাগ) ফিফার ট্যাকনিক্যাল অফিসে যোগাযোগ করতে বলেছি।’
ভিএআর যুক্ত হলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি মনে করেন, ‘ভিএআর’টা হলে সবচেয়ে বড় সুবিধা যেটা হবে, সবাই শান্তিতে থাকবে। যে জিতবে ভালো, আর যে হারবে সে যে সত্যিই হেরেছে তাও থাকবে। এইজন্য যতই কষ্ট হোক ফেডারেশনের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার পাচ্ছে ‘ভিএআর’। আমিও অনুভব করি, একটা দল অনুশীলন করে ম্যাচ জিততে এসেছে, রেফারির দোষে যদি হারে এরচেয়ে দুঃখের কিছু নেই।’
তবে রেফারিদের পক্ষপাতমূলক মনে করেন না বাফুফে সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমি কোন পক্ষে বলছি না। আমি কারো পক্ষ নিতে আসিনি। তবে আমি মনে করি না রেফারিরা পক্ষপাতমূলক। মানুষের ভুল হতেই পারে। আমি কারো পক্ষ নিতেও আসিনি, কারো বিপক্ষেও না। আমি স্বাভাবিকভাবে আমাদের অবস্থানটা বললাম। আমি নিজেও ১৪-১৫ বছর লীগ খেলে এসেছি। হারলে আমাদের সমর্থকরাও বলতো রেফারির দোষ।’
ভিএআর কি চলতি মৌসুমেই যুক্ত হচ্ছে কিনা তা এখনও জানাতে পারেনি ফেডারেশন। তবে সবদিক বিবেচনা করলে হয়তো এই মৌসুমে তা সম্ভব নয়। একটি আর্থিক বিষয়ও রয়েছে এতে। ফলে আগামী মৌসুমে তা যুক্ত হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।