২০১৪ সালের বিশ্বকাপ, সেমিফাইনালে ব্রাজিলকে ব্রাজিলের মাটিতেই ৭ গোল উপহার দিয়েছিলো জার্মানি। আজ ১০ বছর আরো একবার ৭ গোলের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো, সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশীপের প্রথম সেমিফাইনালে। ভারতকে হারানো আত্মবিশ্বাসে ভরপুর বাংলাদেশ দল গোল বর্ষণ করে ভুটানের জালে, যার সমাপ্তি ঘটে ৭ গোলে গিয়ে। ম্যাচের ফলাফল দাঁড়ায় বাংলাদেশ ৭ এবং ভুটান ১, ঠিক যেনো ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিল এবং জার্মানির মধ্যকার ম্যাচের চিত্র।
ভুটানের সাথে নিজেদের পুরোপুরি মেলে ধরেছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। আজ সাফের প্রথম সেমিফাইনালে ভুটানের বিপক্ষে মাঠে নামে পিটার বাটলারের শিষ্যরা। ম্যাচের শুরু থেকে আধিপত্য ধরে রাখা বাংলাদেশ দল ভুটানের জালে একের পর এক গোল দিতে থাকে।
খেলার সময় ৭ মিনিট পেরুতে পেরুতেই ভুটানের জালে বল পাঠায় বাংলাদেশ নারী দল। তহুরা খাতুনের পাসে বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত গতির শটে দলের প্রথম গোলটি করেন ঋতুপর্ণা চাকমা। ১৫ মিনিটে তহুরা খাতুন নিজেই গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ২৬ মিনিটের মাথায় মনিকা চাকমার কাটব্যাক থেকে টুর্ণামেন্টে নিজের গোলের খাতা খুলেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।
৩৫ মিনিটে তহুরা জোড়া গোল করলে ম্যাচের ব্যবধান দাঁড়ায় ৪-০ তে। মিনিট দুয়েকের ব্যবধানে সাবিনা খাতুনও জোড়া গোল করেন। গোলরক্ষক রূপনা চাকমার লম্বা পাস থেকে নিজেই বল নিয়ে বক্সের ভিতর ঢুকে পড়ে বল জালে পাঠান সাবিনা। প্রথমার্ধের শেষ দিকে এসে ভুটানের হয়ে একটি গোল করেন ডেকি লাজম। এতে ৫-১ তে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
৫৮ তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ছন্দে থাকা তাহুরা খাতুন। মনিকা চাকমা পাস থেকে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের ফাঁক দিয়ে গলে বেরিয়ে গিয়ে গোলটি করে তাহুরা। এতে করে টুর্ণামেন্টে তার গোল সংখ্যা দাঁড়ায় ৫; যা সাফের এবারের টুর্ণামেন্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ৭১ মিনিটে সানজিদা আক্তারের কর্ণার কিক থেকে হেড গোল করেন দলের সেন্টার ব্যাক মাসুরা পারভীন। এতে করে ৭-১ গোলে ম্যাচে এগিয়ে থাকে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এরপর আর কোনো হলে ৭-১ গোলের জয় দিয়ে ফাইনালে পৌঁছে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।