এএফসি নারী এশিয়ান কাপ ২০২২ এর বাছাইপর্বে অংশ নিতে বর্তমানে উজবেকিস্তানে অবস্থান করছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। বাছাইপর্বে বাংলাদেশের অবস্থান গ্রুপ জি-তে। গ্রুপে বাংলাদেশে দুই প্রতিপক্ষ হলো ইরান ও জর্ডান। করোনা পরিস্থিতির কারণে এএফসি বাংলাদেশকে স্বাগতিক দেশ হওয়া সুযোগ দিলেও বাফুফে মহামারী পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নিতে চায় নি। ফলে ‘গ্রুপ জি’ এর ম্যাচগুলোর জন্যে নিরপেক্ষ ভেন্যু উজবেকিস্তানকে নির্ধারণ করা হয়।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) বুনিয়দকোর স্টেডিয়ামের কনফারেন্স হলে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন। পাশাপাশি ইরান নারী ফুটবল দলের প্রধান প্রশিক্ষক মরিয়ম ইরানদোস্ত এবং জর্ডান নারী ফুটবল দলের প্রধান প্রশিক্ষক আজেডিন চিই উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে ছোটন বলেন, ‘উজবেকিস্তান আসার পূর্বে আমরা নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলেছি এবং আমি বাংলাদেশ মহিলা জাতীয় ফুটবল দল ও ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আবারও অল নেপাল ফুটবল এসোসিয়েশন কে ধন্যবাদ জানাতে চাই এই দুটি ম্যাচ আয়োজন করার জন্য এতে করে আমাদের মেয়েদের মাঠের ভুল ত্রুটিগুলো খুঁজে বের করে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। একইভাবে পরবর্তী ম্যাচ জর্ডানের বিপক্ষে তাদের সেরাটা খেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং আমরা আশা করছি খুব ভালো একটা ম্যাচ আমরা দেশবাসীকে উপহার দিতে পারব। আমরা সবাই দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থী।’
এছাড়া তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ও গণপ্রজতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই মহামারীর সময়ে মেয়েদের প্রশিক্ষণের জন্য খেলার মাঠ ও আবাসনের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে অপরদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত কোভিড ১৯ প্রটোকল পালন করতঃ আমাদের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা হয়নি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন সর্বক্ষণ মেয়েদের সকল সুযোগ সুবিধার কথা বিবেচনা করেছে বিধায় আমাদের এই প্রতিযোগিতায় আসার পূর্ব প্রস্তুতির ক্ষেত্রে আমাদের কোনো অসুবিধা হয়নি।’
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড়,কোচ এবং স্টাফসহ সকল কোভিড-১৯ টেস্ট করা হয়েছে। টেস্টে সকলের কোভিড-১৯ নেগেটিভ আসে এবং সকলই সুস্থ আছে।