দুধের স্বাদ কি ঘোল দিয়ে মেটানো যায়?তবে প্রফেশনাল লীগ ম্যানেজমেন্ট কমিটি হয়তোবা দুধের স্বাদ ঘোল দিয়ে মিটিয়ে নেয়। বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে মাঠের সমস্যা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। একমাত্র বসুন্ধরা কিংসের হোমভেন্যু কিংস অ্যারেনা ব্যতীত কোনো মাঠই স্টেডিয়ামে বৈশিষ্ট্য পূরণ করতে ব্যর্থ। তবে তাতেও যেনো হুশ ফিরছে না ফেডারেশনের। জোড়া তালি দিয়ে বেহাল দশায় জর্জরিত স্টেডিয়ামে খেলা চালিয়ে নিয়ে তারই প্রমাণ দিচ্ছে বারবার।
এবারের লীগে মাঠের তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে গাজীপুরের শহীদ বরকত স্টেডিয়াম। এই মাঠে আজ প্রথমদিনে মাঠে নেমেছিলো মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও ঢাকা ওয়াডারার্স ক্লাব। তবে এই স্টেডিয়ামকে স্টেডিয়াম না বলে ধানক্ষেত বলাই যুক্তিযুক্ত।
আজ মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও ঢাকা ওয়াডারার্স ক্লাবের খেলা শুরু হওয়ার পর থেকে মাঠের বেহাল দশা ভক্ত-সমর্থকদের নজরে আসে। মাঠের এই বেহাল দশা দেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভে ফেটে পড়ে তারা। ভক্ত সমর্থকদের তোপের মুখে পড়ে ফেডারেশন। প্রতিবার মাঠের বেহাল দশা ভক্তদের প্রশ্নে মুখে পড়তে হয় ফেডারেশকে, তবে তাতেও যেনো চোখ খুলে না দায়িত্বে থাকা কর্তাব্যক্তিদের। পুরাতন গিয়ে নতুন আসলেও অবকাঠামোগত উন্নয়ন যেনো ডুমুরের ফুলে পরিণত হয়েছে।
এর আগে স্টেডিয়াম খেলার উপযুক্ত না হওয়ার কারণে এই মৌসুমে সকল টুর্ণামেন্ট পিছিয়েছে প্রায় দেড় মাসের মতো। প্রফেশনাল লীগ ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান বলেছিলেন স্টেডিয়াম খেলার উপযোগী করে তবেই লীগ শুরু করবেন। লীগ শুরু হলো ঠিকই তবে স্টেডিয়াম খেলা উপযোগী হলো কিনা তা হয়তো বিবেচনায় করতে ভুলে গিয়েছেন ফেডারেশন ও পেশাদার লীগ কমিটি।