দেশের ফুটবলে নারীদের ফুটবল সবসময় যেনো অবজ্ঞার পাত্রী হয়েই থাকে। বর্তমান সময়ে নারী ফুটবলে বাংলাদেশ বেশী সাফল্য পেলেও বাফুফের কৃৃপাদৃষ্টি থেকে প্রায় প্রতিবারই দূরে থাকে তারা। তবে এবার নারী ফুটবলে বাফুফের সুদৃষ্টি পড়েছে। গত ৩০ শে এপ্রিল এক সভায় বাফুফে নির্বাচনে নিজেদের ভোটাধিকারের দাবি জানিয়েছিলো নারী লীগের ক্লাবগুলো। তাদের সেই দাবি অবশেষে মঞ্জুর করেছে ফেডারেশন।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কাউন্সিলরশিপ আছে ছেলেদের লীগগুলোতে অংশগ্রহনকারী ক্লাব সমূহের। তবে নারী লীগের ক্লাবগুলো সেই অধিকার নেই। এর পিছনে কারণ হিসেবে দেখা হয় নারী ফুটবলের প্রতি ক্লাবগুলোর সদিচ্ছার অভাবকে। কিন্তু যেসকল ক্লাবগুলো অনেক কষ্ট করে নারী লীগে খেলে তারা এবার দাবি তুলেছিলো কাউন্সিলরশিপের। আজ বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির এক সভায় দলগুলো দাবিকে মেনে ফেডারেশন।
সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী “ইউসিবি মহিলা ফুটবল লীগ ২০২৩-২৪”- এ যে ৪টি দল শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকবে সেই ৪ দলকে বাফুফের এ্যাফিলিয়েটেড সদস্য পদ দিবে বাফুফে। “বাফুফে সাধারণ সভা ২০২৩”-এ নারী লীগের দলগুলোর ভোটাধিকার নিয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে।
ভোটাধিকার নিশ্চিত হওয়ার পর দেখার পালা কোন কোন দল সেই ভোটাধিকারের যোগ্যতা অর্জনের লড়াইয়ে এগিয়ে আছে। এই ভোটাধিকারের লড়াইয়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে নারী লীগের সবচেয়ে শক্তিশালী দল নাসরিন স্পোর্টস একাডেমি। নামেভারে সবদিক থেকে অন্য সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে দলটি। ইতিমধ্যে নারী লীগে দুইটি ম্যাচে অংশ নিয়েছে নাসরিন স্পোর্টস একাডেমি। দুই ম্যাচেই নিজেদের প্রতিপক্ষের বিপক্ষে গোল উৎসবে মেতেছে তারা। দুই ম্যাচ মিলিয়ে প্রতিপক্ষের জালে ২৬ বার বল পাঠায় দলটি, বিনিময়ে এক গোলও হজম করে নি। তাই চারটি স্লটের মধ্যে একটি স্লট যে নাসরিন স্পোর্টস একাডেমি পেতে যায় তা একদম অনুমেয়।
নাসরিন স্পোর্টস একাডেমির পরেই বাকি দলগুলোর শক্তিমত্তা প্রায় সম পর্যায়ে। এর মধ্যে আতাউর রহমান ভূঁইয়া কলেজ স্পোর্টিং ক্লাব এবং বাংলাদেশ আর্মি ফুটবল ক্লাব অন্যতম। আফিদা খন্দকারের দল আতাউর রহমান ভূঁইয়া কলেজ স্পোর্টিং ক্লাব বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয়তে আছে। আফিদা খন্দকার ছাড়া জাতীয় দলের ফুটবলার শাহিদা আক্তার রিপাসহ বয়সভিত্তিক দলের বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ নারী ফুটবলার আছে এই দলে। তাই লীগে যে দলটি ভালো করবে তা অনুমান করা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ আর্মি ফুটবল ক্লাবও পিছিয়ে নেই। জয় দিয়েই লীগের শুরুটা করেছে দলটি। দলটির মূল অস্ত্র দলের কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন। সাবেক সাফজয়ী এই কোচ স্বাধীনতা কাপে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছেলেদের দলও ভালো ফলাফল দেখিয়েছিলো। এছাড়া লীগের অন্য দলগুলো শীর্ষ চার-এ থাকতে লড়াই চালিয়ে যাবে।
ফুটবল মাঠের খেলা। ফুটবলে কোনো দলই ছোট নয়। তাই মাঠের খেলায় যে দল এগিয়ে থাকবে তারা শীর্ষ চার দখল করে নিবে।