অবশেষে এলো সমাধাণ। টঙ্গীর আহসানুল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়াম ব্যবহারের অনুমতি পেল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে আর্চারী ফেডারেশনকে মেনে নিতে হলো সিদ্ধান্ত।
‘হোম অফ আর্চারী’ খ্যাত টঙ্গীর আহসানুল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলের ভেন্যু করতে চেয়ে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে বাফুফে। অলিম্পিকের জন্য প্রস্তুতিতে থাকার আর্চারদের অনুশীলনে কোন ব্যাঘাত যাতে নাহয়, তাই রাজি ছিলো না আর্চারী ফেডারেশন। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে তা মেনে নিতে হয়েছে তাদের। গতকাল ফুটবল ও আর্চারী ফেডারেশন এবং অলিম্পিক এসোসিয়েশনের বৈঠকে মাঠ নিয়ে আলোচনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠে পরিবেশন। বাফুফের এক কর্তা হট্টগোল করলেও পরবর্তীতে দুইপক্ষের মধ্যে সমাধাণ হয়।
আগামী জুন পর্যন্ত বিপিএলের ১২ টি ম্যাচ টঙ্গীর এই স্টেডিয়ামে হওয়ার কথা রয়েছে। মাঠ এখনও প্রস্তুত নয়, তবে তা দ্রুতই ঠিক করার আশ্বাস দিলেন বাফুফে’র সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ, ‘বাফুফে মাঠটির দেখাশোনা করলে এটি দেশের অন্যতম সেরা মাঠে পরিণত হবে। এখনও আমাদের হাতে ১০ দিন সময় আছে। এই ১০ দিন আমরা মাঠে কাজ করে এটিকে ফুটবল খেলার উপযোগী করে ফেলবো।’
তিনি আরে বলেন, ‘আমরা সপ্তাহে একদিন তাদের থেকে মাঠ নিয়ে ব্যবহার করবো। বাকি দিনগুলোতে তারা যেন তাদের প্রতিদিনে রুটিন অনুযায়ী কাজগুলো সম্পাদন করতে পারে এ ব্যাপারে আমরা তাদের সহায়তা করবো। তারা আমাদের ফুটবল আয়োজনের জন্য সহযোগীতা করবে।’
মাঠ একদিন বাফুফে ব্যবহার করার পর দুইদিন ব্যবহার করবে স্থানীয়রা। এতে আর্চারীর সুযোগ আরো কমে যাচ্ছে। তাই নিজের অসন্তুষ্টির কথা সরাসরিই বলেছেন আর্চারী দলের কোচ মার্টিন ফ্রেডেরিক, ‘প্রতিটি দেশের আলাদা আর্চারী মাঠ বা স্টেডিয়াম থাকে। তাই আমি এই সিদ্ধান্তে খুশি নই।’
খুশি হওয়ারও কথা নয়৷ যেখানে গত এসএ গেমসে ১০ টি স্বর্ণ পদক এনেছে ফ্রেডেরিকে শিষ্যরা, সেখানে জেমি ডে’র শিষ্যদের হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছিলো। অলিম্পিকে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করা এই খেলাকে গুরুত্ব না দিয়ে মাঠ ভাগাভাগিতে একপ্রকার বাধ্য করা অসন্তুষ্ট হওয়ার জন্য যথেষ্ঠই।