বাংলাদেশের তরুণ ফুটবলারদের পেশাদার ফুটবল অঙ্গনে প্রবেশের প্রথম ধাপ হচ্ছে পাইওনিয়ার ফুটবল লিগ। ২ বছরের বিরতি কাটিয়ে এই মৌসুমে আবারো মাঠে গড়াচ্ছে তরুন ফুটবলারদের উঠে আসার অন্যতম প্রধান উৎস পাইওনিয়ার লিগ। করোনার কারণে এবারের লিগে শুধুমাত্র ঢাকা জেলার দলগুলো অংশ নেবে। ২৮ মে শনিবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আরামবাগ ক্রীড়া চক্র জুনিয়র এবং কামরাঙ্গীরচর ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে এবারের পাইওনিয়ার লিগের। এবারের লিগে ১০টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে অংশ নিচ্ছে মত ৪৬টি দল। ২টি করে গ্রুপের খেলা হবে একটি নির্দিষ্ট মাঠে। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শুধু উদ্বোধনী ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বাকি ম্যাচগুলো পল্টনের আউটার স্টেডিয়াম, গোপীবাগের ব্রাদার্স ইউনিয়ন মাঠ, মিরপুরের গোলারটেক মাঠ, উত্তরার ১৪ নং সেক্টর মাঠ এবং নারায়নগঞ্জের আলীগঞ্জ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। এবারের পাইওনিয়ার লিগের স্পন্সর হিসেবে থাকবে বসুন্ধরা গ্রুপ।
অন্যান্য বারের তুলনায় এবারের পাইওনিয়ার লিগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বদ্ধ পরিকর ছিলো পাইওনিয়ার লিগ কমিটি। বয়স চুরি ঠেকাতে মেডিকেল টেস্ট করা বাধ্যতামূলক করে কমিটি। যাতে ক্লাবগুলোও সাধুবাদ জানিয়েছিল। সব মিলিয়ে অনেকটা নতুন আঙ্গিকে শুরুর অপেক্ষায় তরুণ ফুটবলারদের উঠে আসার টুর্নামেন্টটি। টুর্নামেন্টটি অনূর্ধ্ব-১৫ বয়স ভিত্তিক হলেও অনেক দলের কয়েক জন খেলোয়াড়ের বয়স কয়েক মাস বেশি। পরবর্তীতে পাইওনিয়ার কমিটি দলে বেশি কমে যাওয়ার শঙ্কায় প্রতি দলে অ-১৬’র ছয় জন করে খেলানোর সুযোগ দিয়েছে। আসন্ন পাইওনিয়ার লিগ সম্পর্কে পাইওনিয়ার লিগ কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী বলেন, “এবারের পাইওনিয়ার লিগ বিগত সময়ের চেয়ে একটু ভিন্ন মানে করার চেষ্টা হচ্ছে। আশা করি সেটা সবাই লিগ মাঠে গড়ালে বুঝতে পারবেন।”