নিজেদের মাঠ তৈরি করে দক্ষিণ এশিয়ায় নিজেদের কীর্তি দেখিয়েছিলো বসুন্ধরা কিংস। কিংসের তৈরী কিংস অ্যারেনা ছিলো ক্লাব ফুটবলে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বের প্রতীক। ২০২২ সালে কিংস অ্যারেনার পথ চলা শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কার এখনো পর্যন্ত শেষ না হওয়ার কারণে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনাই বাংলাদেশ ঘরোয়া ফুটবলের তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে।
লীগ, টুর্ণামেন্টের পাশাপাশি জাতীয় দলের সব খেলাই কিংস অ্যারেনাতেই অনুষ্ঠিত হয়। তবে নিজের জৌলুশ হারাতে বসেছে কিংস অ্যারেনা। দুই বছর পার হতে না হতেই মাঠে সংস্কারের প্রয়োজন পড়ছে। হালকা বৃষ্টিপাতে মাঠে পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ার কারণে সুষ্ঠুভাবে খেলা পরিচালনা করতেও সমস্যা দেখা দেয়। তবে মূল মাঠের সমস্যা দেখা দিলেও ঠিকভাবেই আছে বসুন্ধরা কিংসের প্র্যাক্টিস ভেন্যু। তাই মাঠকে আধুনিকায়ন করতে চায় কিংস। এই প্রসঙ্গে কিংসের প্রেসিডেন্ট ইমরুল হাসান বলেন,
“বালু-মাটির সংমিশ্রণ কম-বেশি হওয়ায় মাঠে সামান্য বৃষ্টিতেই সমস্যা হচ্ছে। সংস্কার করে মাঠের আধুনিয়াকন করা হবে।”
এবারের এএফসির নতুন টুর্ণামেন্টে অংশ নিবে বসুন্ধরা কিংস। এই টুর্ণামেন্টের গ্রুপ পর্বের ৫ গ্রুপের খেলা ৫ টি নির্দিষ্ট ভেন্যুতে হবে। কিংস অ্যারেনায় আগে হোম এবং এওয়ে ম্যাচ হলেও নির্দিষ্ট করে আয়োজক দল হয় নিই। তাই এবারের আয়োজক দল হতে তোড়জোড় শুরু করেছে কিংস। ইমরুল হাসান বলেন,
“এবারের ফরম্যাটটি ভিন্ন। গ্রুপ পর্ব একটি ভেন্যুতে রাউন্ড রবিন লিগ ভিত্তিতে খেলা হবে। হোম ভেন্যুতে খেলতে পারলে অবশ্যই ইতিবাচক। আমাদের আগ্রহ রয়েছে আবেদন করবো।”
এছাড়া তিনি আরো বলেন,
“আমাদের মাঠ সংস্কার লাগবেই। এর কোনো বিকল্প নেই। সংস্কারে ৪-৫ মাস লাগবে। এখন শুরু করলে গ্রুপ পর্বে স্বাগতিক হওয়া কঠিন। গ্রুপের খেলার পর শুরু করলে যদি আমরা কোয়ার্টারে উঠে যাই তখন আবার হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে খেলা। তখন তো হোম ভেন্যু লাগবে।”
মাঠ সংস্কারকালীন সময়ে বসুন্ধরা কিংসের প্র্যাক্টিস গ্রাউন্ডকে হোমভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করতে চায় বসুন্ধরা কিংস কর্তৃপক্ষ। তাদের মতে প্র্যাক্টিস গ্রাউন্ড হলেও তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে সুবিধা আছে। তাই বিকল্প হিসেবে প্র্যাক্টিস গ্রাউন্ডকে ব্যবহার করা যাবে। এই প্রসঙ্গে ইমরুল হাসান বলেন,
“অনুশীলন মাঠটি বেশ ভালো এবং চারটি ড্রেসিংরুম রয়েছে। অস্থায়ী প্রেসবক্স এবং আরো প্রয়োজনীয় সাময়িক কিছু স্থাপনা করে সাময়িকভাবে ঘরোয়া ম্যাচ হতে পারে।”