যা রটে তার কিছুটা হলেও ঘটে। বাংলাদেশের ফুটবলে ঘটনা এবং রটনার রহস্যের খেলার মূল চরিত্র এখন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। এই জামালকে নিয়ে দেশীয় ক্লাব শেখ রাসেল ক্রীড়া এবং আর্জেন্টাইন ক্লাব সোল দে মায়োর ভাগাভাগির খেলায় অবশেষে নিষ্পত্তির দিক কি দেখতে পারছে ফুটবল বোদ্ধারা?
শেখ রাসেল-জামাল ভূঁইয়া-সোল দে মায়ো এই ত্রিমুখী সম্পর্ক এতোদিনে কিছুটা নিস্প্রভ হয়ে উঠেছিলো। তবে নিভে যাওয়া নতুন করে আগুনে ঘি ঢালছেন জামাল নিজেই। গতকাল জামাল তার সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিড়িও বার্তা পোস্ট করেন। সে ভিডিও বার্তায় জামাল বলেন “এবার আমার সময় এসেছে আর্জেন্টিনায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার। আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশনকে ধন্যবাদ আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য।”
এই ভিডিও বার্তায় নতুন করে ধোয়াশার তৈরি করেছেন জামাল। জামাল যদি একজন অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণেই আর্জেন্টিনায় উড়ে যান, তাহলে তাতে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার কথা বললেন কেনো?তাহলে কি এটি নতুন কোনোকিছুর আভাস দিচ্ছে।
এক বিশ্বস্ত সূত্রমতে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই জামালের সাথে চুক্তি সেরে ফেলে আর্জেন্টিনার ক্লাব সোল দে মায়ো। দেড় বছরের চুক্তিতে নতুন ক্লাব মায়োতে যাবেন জামাল। এছাড়া আগামী ২০-২৫ শে আগষ্টের মধ্যে নতুন ক্লাবের হয়ে ২টি ম্যাচ খেলার বড় গুঞ্জন উঠেছে।
এছাড়া গত কয়েকদিন আগে মায়ো সাথে চুক্তির কথা অস্বীকার করে করা পোস্টের লোকেশন ছিলো আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্স। তবে কি আগে থেকে মায়োর সাথে কথা সেরে ফেলেছিলেন জামাল?গতকালে ভিডিও হয়তোবা নিজের মোবাইলের আর্কাইভ থেকে সংগ্রহ করে বিষয়কে অন্যদিকে ঘুরানোর চেষ্টা করছেন জামাল। হতে পারে চুক্তি শতভাগ সম্পন্ন,শুধুমাত্র আনুষ্ঠিকতা বাকি।
অবশ্য জামালের এই লুকিয়ে বেড়ানোর স্বভাবটা পুরোনো নয়। এর আগেও এমনটা করেছিলেন জামাল। ২০২০ সালে আই-লীগের খেলার জন্য কলকাতা মোহামেডানে যোগ দিয়েছিলেন জামাল। সেবারেও দলবদলের বিষয়টি এইরকমভাবে অস্বীকার করেছিলেন তিনি। তবে শেষে এসে ঠিকই কলকাতা মোহামেডানে যোগ দেন জামাল।
অন্যদিকে মায়োতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে কিছু না বললেও জামাল তাদের সাথে আছেন বলে জানিয়েছেন শেখ রাসেল কর্তৃপক্ষ। ক্লাব কর্তৃপক্ষ বলেন, “জামাল ভূঁইয়া পারিবারিক কারণে ইউরোপ যাবে। এজন্য আমাদের সঙ্গে ২০ জুলাই চুক্তি করে। ইউরোপ থেকে ফিরে ফেডারেশনের ফরমে স্বাক্ষর করার কথা বলেছিলেন। আমরা তার কথাকে সম্মান করেছি।”