আগামী ১৩ এবং ১৬ ই নভেম্বর মালদ্বীপের বিপক্ষে দুইটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। আর বেশী দিন সময় না থাকলেও এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের আবাসিক ক্যাম্পে সকল খেলোয়াড় যোগ দেয় নি। তবে ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত দল ঘোষণা করা হয়েছে। দলে ডাক পাওয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে যারা এখনো পর্যন্ত ক্যাম্পে যোগ দেয় নি, তারা আগামীকাল দলের সাথে যোগ দিবে।
আসন্ন মালদ্বীপের ম্যাচকে সামনে রেখে হ্যাভিয়ার ক্যাবররার অধীনে ২৭ সদস্যের চূড়ান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ইঞ্জুরি থেকে ফিরে আসলেও এখনো পুরোপুরি ফিট না হওয়ায় দলে জায়গা হয় নি তারিক কাজী, অন্যদিকে ইঞ্জুরি আরেক ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষও ইঞ্জুরি কাটিয়ে উঠতে না পারায় দলে ডাক পান নি।
গত ১ লা নভেম্বর থেকে মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচকে সামনে রেখে প্রাথমিক দলের ১৬ জন খেলোয়াড় নিয়ে অনুশীলন শুরু করেছিল কোচ হ্যাভিয়ার ক্যাবররা। বসুন্ধরা কিংসে থাকা যেসব খেলোয়াড় দলে ডাক পেয়েছিলো তারা এএফসির টুর্ণামেন্টের জন্যে দলের সাথে যোগ দিতে পারে নি। এএফসি মিশন শেষ করে দেশে ফেরা খেলোয়াড়রা আগামীকাল দলের সাথে অনুশীলনে যোগ দিবেন।
যেসকল খেলোয়াড় আগামীকাল যোগ দিবেন তারা হলেন- আনিসুর রহমান জিকো, মেহেদী হাসান শ্রাবণ, চন্দন রায়, সাদ উদ্দিন, তপু বর্মন, রাব্বি হোসেন রাহুল, মজিবুর রহমান জনি, সোহেল রানা, রাকিব হোসেন, শেখ মোরসালিন ও ফয়সাল আহমেদ ফাহিম।
চূড়ান্ত দলে ডাক পাওয়া যেসকল খেলোয়াড় ক্যাবররার ক্যাম্পে শুরু থেকেই ছিলো তারা হলো- মিতুল মারমা, সুজন হোসেন, সাকিল আহাদ তপু, মুরাদ হাসান, মেহেদী হাসান, রহমত মিয়া, সাকিল হোসেন, ইসা ফয়সাল, তাজউদ্দিন, মোহাম্মদ হৃদয়, সায়েদ শাহ কাজেম, পাপন সিং, দিদারুল আলম, শাহরিয়ার ইমন, আরমান ফয়সাল আকাশ এবং মিরাজুল ইসলাম।
দুইদলের মুখোমুখি লড়াইয়ে তেমন একটা পার্থক্য নেই। এই পর্যন্ত মোট ১৮ বার মুখোমুখি হয়েছে দুইদল। যার মধ্যে ৬ বার করে জয় পেয়েছে দুইদল। বাকি ৬ ম্যাচ ড্র হয়েছে। বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ শেষ বার মুখোমুখি হয়েছিলো বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রথম রাউন্ডে। সেবার প্রথম লেগে মালদ্বীপের সাথে ১-১ গোলে ড্র করেছিলো এবং ফিরতি লেগে দেশের মাটিতে মালদ্বীপকে ২-১ গোলে পরাজিত করে দ্বিতীয় রাউন্ডে কোয়ালিফাই করেছিলো লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এবারেও সেইরকম কিছুই করতে চাইবে বাংলাদেশ। তবে মাঠের লড়াইয়ে কতটুকু চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে বাংলাদেশ সেটিই এখন দেখার পালা।