মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচের আগে গোল খরায় ভোগা খেলোয়াড়দের আলাদাভাবে ট্রেনিং করিয়েছিলেন হ্যাভিয়ার ক্যাবররা। তবে আলাদাভাবে ট্রেনিং করালেও সেই গোল খরা কাটাতে পারেনি তার শিষ্যরা। আজ মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচে যেনো তারই প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। ফলাফল একবছর পর আন্তজার্তিক পর্যায়ে ফিরে আসা মালদ্বীপের কাছে ১-০ তে পরাজিত হয়েছে তাদেরকে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত থাকা বাংলাদেশ।
ম্যাচের প্রথমার্ধ বাংলাদেশের জন্য মোটেই সুখকর ছিলো না। গোছানো ফুটবলের বিপরীতে ছন্নছাড়া ফুটবলই ছিলো বাংলাদেশের ফুটবলের একমাত্র রূপ। অন্যদিকে একবছর পর আন্তজার্তিক পর্যায়ে ফিরেও বাংলাদেশের বিপক্ষে ভালোই খেলে যাচ্ছিলো মালদ্বীপ। এর ফলও আসে ম্যাচের ১৮ মিনিটে, মোহাম্মদ হামজার ফ্রি-কিক থেকে ফাঁকায় থাকা আলি ফাসিরের হেডে বল সোজা জালে প্রবেশ করে। গোলের সময়ে রক্ষণে বাংলাদেশের খেলোয়াড় থাকলেও কেউই আলি ফাসিরকে মার্ক করতে পারেননি।
২৭ মিনিটে সমতায় ফিরতে পারতো বাংলাদেশ। তবে গোল এরিয়াতে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের কাটব্যাকে কেউ বলের কন্ট্রোল না নিতে পারায় বাংলাদেশের ভাগ্যে গোল প্রাপ্তি হয়নি। ৩০ মিনিটে ইসা ফয়সালের ক্রসে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম হাফবলি করে কিন্তু বল বারের কাছ ঘেঁষে সীমানা অতিক্রম করে।
৩৪ মিনিটে মালদ্বীপকে গোল হজমের হাত থেকে বাঁচান ইরুফান। মুরসালিনের পাস থেকে রাকিব হালকা জায়গা করে অন-টার্গেট শট করলেও স্লাইড করে বলকে আটকে দেন ইরুফান। ৪৩ মিনিটের মাথায় বক্সের বাইরে থেকে সোহেল রানার বুলেট গতির শট গোলবারে বাধা পেলে ১-০ তে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে মালদ্বীপ।
৬২ মিনিটে বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিতুল মারমাকে একা পেয়ে যান মোহাম্মদ হামজা, তবে হামজার শট নেওয়ার আগে রাকিব হোসেন ট্যাকেল করে কর্ণারের বিনিময়ে দলকে বাঁচান। ৮৬ মিনিটে গোল শোধের সুযোগ পায় বাংলাদেশ। রাকিবের কাটব্যাক থেকে শেখ মোরসালিন শট করলেও মালদ্বীপের গোলরক্ষক হুসেন শারিফ বল সেভ করেন।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিলো বাংলাদেশের। মোরসালিনের কর্ণার কিক থেকে রাকিবের হোসেনে ব্যাক ফ্লিক করা বল ক্রসবারের কাছ ঘেঁষে চলে গেলে গোল পায় নি বাংলাদেশ। ফলে শেষ পর্যন্ত ১-০ গোল জয় পায় মালদ্বীপ।