আগামী ১২ ই অক্টোবর ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রথম রাউন্ডে মালদ্বীপের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ দল। আসন্ন ম্যাচকে সামনে রেখে আজ সকাল ৯ টায় মালদ্বীপের উদ্দেশ্য ঢাকা ছেড়ে তারা। এবারের মালদ্বীপ মিশনে অভিজ্ঞ ফুটবলারের পাশাপাশি একঝাঁক তরুণ ফুটবলারও চূড়ান্ত দলে জায়গা পেয়েছে।

মালদ্বীপের বিপক্ষে দুইটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। প্রথমটি এওয়ে এবং পরেরটি হোম ম্যাচ। এই দুই ম্যাচে মিলিয়ে জয় পেলে পরবর্তী রাউন্ডে কোয়ালিফাই করতে পারবে বাংলাদেশ। তাই ম্যাচ দুইটিকে খুব গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে কোচ হ্যাভিয়ার ক্যাবররা। ক্যাবরবা বলেন,

“বিশ্বকাপ বাছাইয়ে টিকে থাকা নির্ভর করছে এই ম্যাচ দুটির ওপর। আর বাছাই পেরোতে পারলে সামনে আরো যে মান সম্পন্ন, বড় ম্যাচগুলোতে আমরা খেলার সুযোগ পাব, সেই বিবেচনাতেই এই ম্যাচ দুটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য।”

মালদ্বীপ মিশনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত আছে বলে জানান বাংলাদেশ দলের স্প্যানিশ কোচ। তার মতে বাংলাদেশ দল এখন বেশ অভিজ্ঞ। বড় দলগুলো সাথে লড়াই করার মতো আত্মবিশ্বাস বাংলাদেশ দলে আছে। তিনি বলেন,

“সৌদি আরবে প্রস্তুতি ক্যাম্প থেকে শুরু করে সাফ এবং এরপর আফগানিস্তানের বিপক্ষে আমরা দেখিয়েছি যে বড় দলগুলোর বিপক্ষেও আমরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে লড়তে পারি। এরপর এশিয়াডে অলিম্পিক দলের পারফরম্যান্স ছিল আমাদের জন্য বাড়তি পাওয়া। সত্যি বলতে এশিয়াড থেকে ফিরেই আমি আরো ভালো উপলব্ধি করতে পেরেছি যে, প্লে-অফের এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য আমরা সবচেয়ে ভালোভাবে তৈরি।”

মদকান্ডে জড়িত থাকার কারণে বাংলাদেশ জাতীয় দলের শুরু একাদশে থাকা আনিসুর রহমান জিকো, তপু বর্মন এবং শেখ মোরসালিন জাতীয় দল থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন। উক্ত পরিস্থিতিকে দুর্ভাগ্যজনক ও অপ্রত্যাশিত হিসেবে দাবি করেন কোচ। তবে নতুন উপর সম্পূর্ণ আস্থা রাখছেন ক্যাবররা। তিনি বলেন,

“এটা আসলে অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি। দুর্ভাগ্যজনকও। কারণ হলো এই দলটি জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনেক ভালো খেলে আসছিল। তবে এই পর্যায়ে এসে অন্য খেলোয়াড়দের নিয়ে একটি দল তৈরি করতে হচ্ছে। তাদের সুযোগ করে দিতে হচ্ছে। আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে এতে যেন দল ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তাদের অনুপস্থিতিতে। যারা এখন দলে আছে তাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। পারফরম্যান্স করে দেখাতে হবে। একটি দল হয়ে খেলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে হবে।”

কোচের মতো বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও নিজেদের নিয়ে আশাবাদী। কঠিন ম্যাচ হলেও নিজেদের সর্বোচ্চটা দিবে বলে জানান জেবি সিক্স। এই প্রসঙ্গে জামাল বলেন,

“এই বছরে আমাদের জন্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। ঠিক পাঁচ বছর আগে লাওসের বিপক্ষে একই পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছিল। সবাই জানে এই ম্যাচের গুরুত্ব কতটুকু। মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচ দুটি সহজ হবে না। তবে আমরা মালদ্বীপে চেষ্টা করবো সেরা ফল করতে, এরপর ঢাকার ম্যাচেও ইতিবাচক ফল করে দেখাতে।”

Previous articleমালদ্বীপ মিশনে বাংলাদেশ দলে তারুণ্য ও অভিজ্ঞের মিলমেশ!
Next articleমালদ্বীপ পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here