বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ২০২০-২১ এর মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎই আলোচনায় আসে ফিক্সিং কান্ড। সন্দেহের তীর যায় ঐতিহ্যবাহী আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের দিকে। এএফসি’র নির্দেশে এর তদন্ত শুরু করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে আরামবাগের বিরুদ্ধে প্রমান পায় তারা। এতে আর্থিক জরিমানা ও অবনমন করা হয়েছে দলটিকে।
ক্লাবের মানহানি হওয়ায় ফিক্সিং কান্ডের অন্যতম হোতা হয়ে আসেন মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজের বিরুদ্ধে মামলা করেছে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলি। অফসাইডকে মুটোফোনে তিনি জানান, ‘আমরা ক্লাবের পক্ষ থেকে মানহানি মামলা করেছি ১০ কোটি টাকার। এছাড়াও চুক্তি ভঙ্গ ও প্রতারনার জন্য আরো একটি মামলা করেছি ঢাকা সিএমএম কোর্টে। মামলার সুনানির তারিখ এখনো ধার্য হয়নি। দু এক দিনের ভেতর আদালত আমাদের তারিখ জানিয়ে দিবে।’
মিনহাজ আর্থিক সহায়তার দেয়ার বিনিময়ে এই ফিক্সিং কান্ড শুরু করেন। তার নির্দেশেই চলতে থাকে সকল কার্যক্রম। বাফুফে মিনহাজকে ফুটবল থেকে ইতমধ্যে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা করেছে। এছাড়াও সাবেক টিম ম্যানেজার গওহর জাহাঙ্গীর রুশাে, সাবেক ফিটনেস ট্রেইনার ভারতীয় নাগরিক মাইদুল ইসলাম শেখ এবং সাবেক এসিস্ট্যান্ট টিম ম্যানেজার মােঃ আরিফ হােসেনকে ফুটবল সংশ্লিষ্ট সকল কার্যকলাপ হতে আজীবন নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছে। আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সাবেক ফিজিও ভারতীয় নাগরিক জনাব সঞ্জয় বােস, গেম এনালিস্ট/প্লেয়ার এজেন্ট ভারতীয় নাগরিক আজিজুল শেখকে ফুটবল সংশ্লিষ্ট সকল কার্যকলাপ হতে আগামী দশ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে।
ফিক্সিং কান্ডে সরাসরি যুক্ত ছিলো খেলোয়াড়রা। আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সাবেক খেলােয়াড় আপেল মাহমুদকে ফুটবল সংশ্লিষ্ট সকল কার্যকলাপ হতে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বাফুফে। এছাড়া আবুল কাশেম মিলন, আল আমিন, মােঃ রকি, মােঃ জাহিদ হােসেন, কাজী রাহাদ মিয়া, মােঃ মােস্তাফিজুর রহমান সৈকত, মােঃ শামীম রেজা এবং অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড় ব্রেডি ক্রিস্টিয়ানকে ফুটবল সংশ্লিষ্ট সকল কার্যকলাপ হতে আগামী তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা করা হয়েছে।
আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের নাইজেরিয়ান বিদেশী চিজোবা ক্রিস্টোফার, মােঃ ওমর ফারুক, মােঃ রাকিবুল ইসলাম, মেহেদী হাসান ফাহাদ এবং মােঃ মিরাজ মােল্লাকে ফুটবল সংশ্লিষ্ট সকল কার্যকলাপ হতে আগামী দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।