অনূর্ধ্ব-২০ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে লাল সবুজের প্রতিনিধিদের প্রতিপক্ষ ছিল দ্বীপ দেশ শ্রীলঙ্কা। আর লঙ্কানদের হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করতে দৃঢ় প্রত্যয়ী ছিল বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে কথা রেখেছে যুবারা। তবে লঙ্কানদের বিপক্ষে জয়টা এতো সহজেও আসেনি পল স্মলির শিষ্যদের। তারপরও শ্রীলঙ্কাকে ১-০ গোলে হারিয়ে আসর শুরুর তৃপ্তি নিয়েই মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন ফরোয়ার্ড মিরাজুল ইসলাম।
ভারতের ওড়িশা রাজ্যের কালিঙ্গা স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার ওপর ম্যাচের শুরু থেকেই ছড়ি ঘোরাতে থাকে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করলেও চিরায়ত ফিনিশিং সমস্যায় গোল পাচ্ছিল না বাংলাদেশ। ম্যাচের ৫ম মিনিটে লঙ্কান গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি ফরোয়ার্ড পিয়াস আহমেদ নোভা। এরপর ৮ম মিনিটে উইঙ্গার রফিকুল ইসলামের শট সরাসরি জমা পড়ে গোলরক্ষকের গ্লাভসে। ২০তম মিনিটে রফিকুলের আরো একটি শট ঠেকিয়ে দেন লঙ্কান গোলরক্ষক। এছাড়া আরো কয়েকটি ভালো আক্রমনের সুযোগ পেয়েও বিরতির আগে স্কোরশিটে নাম তুলতে পারেনি কোনো বাংলাদেশী ফুটবলার। অপরদিকে একের পর এক আক্রমন ঠেকাতে থাকা শ্রীলঙ্কার যুবারা করতে পারেনি বলার মত তেমন কোনো আক্রমন।
বিরতির পরও আক্রমনের ধারা অব্যাহত রাখে বাংলাদেশ। তবে প্রথমার্ধের তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার চেষ্টা করে শ্রীলঙ্কা। ৪৭তম মিনিটে লঙ্কান ফরোয়ার্ড থেসান থুসমিকার জোরালো শট লাল সবুজের গোলরক্ষক মোহাম্মদ আসিফ ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন। এরপর ৭১তম মিনিটে বাংলাদেশকে আনন্দে ভাসান মিরাজুল ইসলাম। ডান প্রান্ত থেকে দেওয়া শাহিন মিয়ার স্কয়ার পাস থেকে বদলি মিরাজুল ডান পায়ের দারুন শটে লক্ষ্যভেদ করেন। এরপর ব্যাবধান বাড়ানোর আরো বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগ তৈরি করলেও, কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। ফলে ১-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে পল স্মলির শিষ্যরা।
এর আগে অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধনী ম্যাচে মালদ্বীপকে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারায় নেপাল। আগামী ২৭ জুলাই নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ভারত।