আগামী ৬ সেপ্টেম্বর থেকে থাইল্যান্ডে শুরু হচ্ছে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের এইচ গ্রুপের খেলা। যেখানে স্বাগতিক থাইল্যান্ডের সঙ্গে ফিলিপাইন ও মালয়েশিয়ার বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টটিতে ১১ টি গ্রুপ রয়েছে। প্রতিটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে সেরা পাঁচ রানার্স আপ মূলপর্বে খেলবে। এই আসরে অংশ নিতে জুলফিকার মাহমুদ মিন্টুর অধীনে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থাইল্যান্ডে যাচ্ছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল।
আজ বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বাছাইপর্ব পেরিয়ে মূল পর্বে খেলার লক্ষ্য বাংলাদেশের। বাংলাদেশের মূল পর্বে খেলার সম্ভাবনা সম্পর্কে কোচ জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু বলেন, ‘আমরা অবশ্যই মূলপর্বে খেলার লক্ষ্য নিয়ে যাব। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। মালয়েশিয়ার বিপক্ষে প্রথমে পয়েন্ট পেলে তখন মূলপর্বে খেলার সম্ভাবনা আরও বাড়বে।’
এই সপ্তাহেই সিনিয়র জাতীয় দলের প্রীতি ম্যাচ এবং সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে আবার এশিয়ান গেমস রয়েছে। সব মিলিয়ে অ-২৩ দল পূর্ণ শক্তির নয়। বিষয়টি মেনে নিয়েও সর্বোচ্চ প্রত্যাশাই করছেন মিন্টু, ‘বয়স ২৩ এর নিচে এমন সাত জন খেলোয়াড় সিনিয়র দলে রয়েছে। তারা আসলে অবশ্যই দলীয় শক্তি বৃদ্ধি পেত। কিন্তু সিনিয়র দলের প্রীতি ম্যাচও গুরুত্বপূর্ণ। আবার সামনে এশিয়ান গেমস। সেই দলে যারা রয়েছে তাদের বিষয়টিও বিবেচনা করা হয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে বিদ্যমান সামর্থ্যের মধ্যে আমরা সর্বোচ্চটা দেব। আমাদের গ্রুপে রয়েছে স্বাগতিক থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইন। তাদের সাম্প্রতিক খেলাগুলো দেখেছি। তারা আমাদের সামর্থ্যের খুব বাইরে নয়।’
অনূর্ধ্ব-২৩ দলের অধিনায়কের দায়িত্বে আছেন বসুন্ধরা কিংসের লেফট ব্যাক ইয়াসিন আরাফাত। জাতীয় দলে এক সময়কার নির্ভরযোগ্য এই ফুটবলার সাফের চূড়ান্ত স্কোয়াডে ডাক পাননি। পুনরায় জাতীয় দলে প্রবেশের চেয়ে জুনিয়র দলের দায়িত্বেই তার আপাতত মনোযোগ, ‘আমি এখনকার দায়িত্ব নিয়েই ভাবছি। এই দলে সেরাটা দিতে চাই। সেরাটা দিতে পারলে অবশ্যই জাতীয় দলেও বিবেচনা করবে।’
আগামী ৬ সেপ্টেম্বর টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মালয়েশিয়ায় বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এরপর ৯ সেপ্টেম্বর স্বাগতিক থাইল্যান্ড এবং ১২ সেপ্টেম্বর ফিলিপাইনের বিপক্ষে লড়বে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। এইচ গ্রুপের সবগুলো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে চোনবুরি স্টেডিয়ামে।