শেষে এসে আশা জাগিয়েও ব্যর্থ হলো মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। স্বাধীনতা কাপে আজকের দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে বাঁচা মরার লড়াইয়ে মাঠে নামে সাদাকালো শিবির। প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিলো সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। কিন্তু তাদের সাথে ১-১ গোলের ড্রতে কপাল পুড়লো মোহামেডানের। আর এতেই প্রথমবারের মতো আমন্ত্রিত দল হিসেবে স্বাধীনতা কাপে অংশ নিয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে উর্ত্তীর্ণ হলো বাংলাদেশ সেনা বাহিনী
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১৭ মিনিট বল নিয়ে সাইফ এসসির ফরোয়ার্ড এমেকার কাছে থেকে বল পান মারাজ হোসেন। তিনি হালকা জায়গা বের করে গোলপোস্টে শট নেন। কিন্তু মোহামেডানের গোলরক্ষক বিপু ডানপাশে ঝাপিয়ে পড়ে দলকে সে যাত্রায় রক্ষা করেন। এরপরও বেশ কিছু আক্রমন চালায় সাইফ, তবে কাক্ষিত গোল আসেনি।
গোল আসে প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে এসে। থ্রো ইন থেকে বল পান সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। জামালের কাছে থেকে নিয়ে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম উঁচু করে বল বাড়ান বক্সে ফাঁকা জায়গায় থাকা এম্পুন উদোর কাছে। সেখান থেকেই অন টার্গেট বলি শট নিয়ে গোল আদায় করে নেন এই নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড। ফলে সাইফের ১-০ তে এগিয়ে থেকে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
ম্যাচের ৭০ মিনিটে ব্যবধান বাড়াতে পারতো সাইফ। মোহামেডানের ইয়াসমিনকে উদ্দেশ্য করে ব্যাকপাস করে তার সতীর্থ খেলোয়াড় কিন্তু সাইফের এম্পুন উদো বলটি কেড়ে নেন। এরপর গোলকিপার আহসান হাবিবকে পাশ কাটিয়ে গোলপোস্টে শট নেন তিনি। কিন্তু বলটি জালের দেখা পায় না।
ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে এসে সমতায় ফিরে মোহামেডান। লেফট ব্যাক আলমগীর মোল্লার বাম পায়ের কর্ণার কিক থেকে হেডে গোল করে মোহামেডানকে সমতায় ফেরান রাজিব। এতে করে ১-১ ড্র হয় ম্যাচটি।
এ ড্রয়ের ফলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরবর্তী রাউন্ডে উত্তীর্ণ হয় সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। সাইফ স্পোর্টিং গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলেও ড্রয়ের ফলে কপাল পুড়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের। ম্যাচ ড্র হওয়ায় ৩ ম্যাচে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সমান ৪ পয়েন্ট নিয়েও মুখোমুখি লড়াইয়ে পিছিয়ে থাকায় কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখতে পারে নি ঐতিহ্যবাহী দলটি। এতে করে গ্রুপ পর্বেই স্বাধীনতা কাপে যাত্রার ইতি ঘটালো মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের।