২০২৪-২৫ মৌসুমে লিগে অপ্রতিরোধ্য মোহামেডান। ৬ ম্যাচের সবগুলো জিতে সবার উপরে তারা। তবে ফেডারেশন কাপে দ্বিতীয় হারের স্বাদ পেয়েছে আলফাজ আহমেদ শিষ্যরা। এতে করে সেমি ফাইনালে খেলা এখন বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে তাদের জন্য!
কুমিল্লায় ফেডারেশন কাপের বি গ্রুপে নিজেদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ঢাকা আবাহনীর মোকাবেলা করে মোহামেডান। নামে ভারে কিংবা সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে মোহামেডানকে এগিয়ে রাখেন সবাই। কিন্তু মাঠের খেলায় চমকে দেয় আবাহনী।
অবশ্য ম্যাচের শুরু থেকে সমানে সমান লড়াই করে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। আবাহনীর একাধিক আক্রমণ রুখে দেন মোহামেডান গোলকিপার সুজন। অপরদিকে সানডে-দিয়াবাতেদের নিয়ে গঠিত মোহামেডানের শক্তিশালী আক্রমণভাগ সেভাবে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। ৩৬তম মিনিটে সানডের ক্রস থেকে আরিফ হেড নেওয়ার আগেই হাত দিয়ে সেটি প্রতিহত করে দেন মিতুল। দুই মিনিট পর দিয়াবাতে শট নেওয়ার আগেই ডিফেন্ডার কামরুল ক্লিয়ার করে দলকে গোল হজম করা থেকে বাঁচান।
বিরতির পর খেলা আরো জমে ওঠে খেলা। দ্বিতীয়ার্ধের মুজাফফরভের কর্নারে ফ্লিক থেকে গোল হওয়া থেকে রক্ষা করেছেন গোলকিপার মিতুল। অবশেষে ৭৪তম মিনিটে এগিয়ে যায় আবাহনী। শাহরিয়ার ইমনের নিচু ক্রসে মোহাম্মদ ইব্রাহিম দারুণ এক প্লেসিংয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন। এরপর ৮৬তম মিনিটে মোহামেডানের বদলি মোহাম্মদ জুয়েলের কর্নারে দিয়াবাতে গোলের সুযোগ পেয়েও হেড নিতে পারেননি। এরপর চেষ্টা করেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি মোহামেডান; পরক্ষণে রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই উল্লাসে মেতে ওঠে আবাহনী।
এই জয়ে ২ ম্যাচে রহমতগঞ্জের সমান ৬ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে বি গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে উঠে গেল আবাহনী। ৩ ম্যাচ খেলে মোহামেডানের পয়েন্ট ৩। তারা আছে তৃতীয় স্থানে।
আর আজ ২-২ গোলে ড্র করা ফকিরেরপুল ও চট্টগ্রাম আবাহনী আছে যথাক্রমে এই গ্রুপের চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে।